রংপুরে ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আরও চারজন। এদের মধ্যে পুলিশ, নার্স ও ব্যাংকারসহ বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) দুপুরে চারজনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে এই হাসপাতাল থেকে মোট ১৪৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।
করোনামুক্ত হওয়া ওই চারজনকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ চিকিৎসকরা ফুল ও চিঠির মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি করতালি দিয়ে বিদায় জানান। এর আগে বুধবার (২৪ জুন) আরও দুইজনকে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এস.এম নূরুন নবী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ছাড়পত্র প্রাপ্ত ব্যাক্তিরা হলেন রংপুর সোনালী ব্যাংকের স্টাফ জনাব দিলদার হোসেন (৫০) ও জেলা পুলিশ সদস্য মুন্না বাবু(২২), রংপুর মেডিকেল কলেজের সিনিয়র স্টাফ নার্স কোহিনুর বেগম (৪০), গঙ্গাচড়া, রংপুরের বাসিন্দা সাফিয়ার রহমান (৩৫), রংপুর শহরের বাসিন্দা রাজা আলী(২৭) ও জলঢাকা, নীলফামারীর বাসিন্দা জনাব শফিকুল ইসলাম (৫৩)
দিলদার গত ১৩ জুন ও মুন্না বাবু ১৪ জুন, কোহিনুর, সাফিয়ার ও রাজা ১৫ জুন ও শফিকুল ইসলাম ১৭ জুন ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে ভর্তি হন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এস.এম নূরুন নবী জানান, ছাড়পত্রপ্রাপ্তরা সবাই পুরোপুরি সুস্থ ও করোনামুক্ত। তাদের শরীরে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ না থাকায় এবং পর পর দুইবার নমুনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ায় ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে। সুস্থ হয়ে উঠার মধ্যে একজন নীলফামারী জেলার জলঢাকার এবং বাকিরা রংপুর জেলার বাসিন্দা।
গত ১৯ এপ্রিল ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালটি চালু হবার পর থেকে (২৪ জুন পর্যন্ত) ১৮৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে নতুন চারজনসহ ১৪৫ জন সুস্থতার ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখানে মারা গেছেন ৯ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ৩১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন