খুলনা-মাওয়া মহাসড়কটি চায়না বাংলাদেশ যৌথভাবে তৈরি হওয়ার মাত্র এক যুগ যেতে না যেতেই রাস্তাটি কয়েকটি জায়গায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরিনত হয়েছে মৃত্যুফাঁদে। প্রতি বছর দু-এক বার সংস্কারের কাজ করা লাগে এই মহাসড়কে। তবুও কেন টেকানো সম্ভব হচ্ছে না এমনটি প্রশ্ন এখন জনমনে। তাহলে কি নিম্নমানের কাঁচামাল আর অনুন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছিল রাস্তাটি এমনটি প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল। ফকিরহাটের নোয়াপাড়া থেকে শুরু করে ভাংগা মোড়ে শেষ হওয়া এই মহাসড়কটিতে কয়েক শত জায়গায় পিচের কার্পেটিং উঠে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়ে আছে। এসব গর্তে যেমন স্বাভাবিক চালনায় বিঘœ ঘটাচ্ছে চালকদের তেমনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। এমনই একটা জায়গা ফকিরহাটের গোডাউন মোড় সংলগ্ন ব্রিজ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা। ছোটখাট দূর্ঘটনা প্রায় এখানে লেগেই আছে। এই ব্রীজের নিচ দিয়ে প্রবাহমান ভৈরব নদী হওয়ায় প্রতিদিন বিকাল হলে পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে লোকজন আসে সময় কাটাতে। তাদের অনেককেই বসে থাকতে দেখা যায় ব্রিজের রেলিং এর উপর। কিন্তু ব্রিজের উভয় পাশে রাস্তাটির বেহাল দশা হওয়ায় যেকোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। তাছাড়া এসব খানাখন্দরে বর্ষা মৌসুমে ভরে থাকে পানিতে। দ্রুতগামী গাড়ি গুলো অনেক সময় অসাবধানতা বশত এসবের তোয়াাক্কা না করে দ্রুত গতিতে চালিয়ে গেলে গর্তের পানি ছিটিয়ে পথচারীদের স্বাভাবিক পথ চলায় মারাত্মক বিঘœ ঘটছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।