কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে আইনজীবী পরিবারের ওপর নারকীয় হামলার ঘটনায় চারদিনেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। উল্টো আইনজীবীর পরিবারের বিরুদ্ধে কটিয়াদী থানায় একটি সাজানো মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মো. সেলিম উদ্দিনের দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি জিহাদুল ইসলাম বাবুল বাদী হয়ে অ্যাডভোকেট মো. সেলিম উদ্দিন এবং তার দুই পুত্র শিক্ষানবিশ আইনজীবী মো. ফজলুল করিম ওয়াসিম ও আয়কর আইনজীবী মো. আতাউল করিম তানিমকে আসামি করে কটিয়াদী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। সোমবার (২২ জুন) মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
এদিকে প্রকাশ্য দিবালোকে আইনজীবীর বাসায় নারকীয় হামলা চালিয়ে অ্যাডভোকেট মো. সেলিম উদ্দিন (৬৫) এবং তার পুত্র আয়কর আইনজীবী মো. আতাউল করিম তানিম (৩২) কে আহত করার ঘটনায় আসামি গ্রেফতার না করে উল্টো আসামিপক্ষের সাজানো মামলায় আক্রান্ত আইনজীবী ও তার দুই পুত্রকে আসামি করায় এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
অ্যাডভোকেট মো. সেলিম উদ্দিনের অভিযোগ, রোববার (২১ জুন) সকাল ১১টার দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে কটিয়াদী পৌরসদরের কটিয়াদী পূর্বপাড়ায় তার বাসায় দা, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে ৩০-৩৫ জনের একটি সশস্ত্রদল হামলার মাধ্যমে তা-ব চালায়। বাসায় অবস্থান করা তিনি এবং তার পুত্র আয়কর আইনজীবী মো. আতাউল করিম তানিম হামলায় আহত হওয়া ছাড়াও স্ত্রী ও পুত্রবধূও হামলাকারীদের হাতে লাঞ্ছিত হন। আক্রান্ত হওয়ার পর এলাকাবাসী এগিয়ে গিয়ে তাদের রক্ষা করেন। এ রকম একটি অসহায় পরিস্থিতিতে তিনি আইনী সহযোগিতা চেয়ে থানায় মামলা করার পরও কোন আসামিকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। উল্টো কাল্পনিক এক মামলায় তাকে এবং তার দুই পুত্রকে আসামি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে রোববার সকালে আইনজীবীর পরিবার আক্রান্ত হওয়ার পর ওইদিনই কটিয়াদী মডেল থানায় অ্যাডভোকেট মো. সেলিম উদ্দিন বাদী হয়ে ৮ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামি করে মামলা (নং-৩০, তারিখ- ২১/০৬/২০২০) দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এম,এ, জলিল বলেন, কোন এক পক্ষের ওপর হামলা হয়নি। দুইপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। একপক্ষ বেশি মার খেয়েছে, আরেকপক্ষ কম মার খেয়েছে। তাই দুইপক্ষেরই মামলা নেয়া হয়েছে।