পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র ল্যাব টেনিশিয়ানের স্বজন প্রীতির গ্যাড়াকলে আটকে থাকে বাউফল উপজেলার করোনা শনাক্তকরনের কাজ। স্বজন প্রীতি করে করোনার শনাক্ত করনের নমুনা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠান এমন অভিযোগ ওই টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে। টেকনিশিয়ানের নাম মো.রফিকৃল ইসলাম। অভিযোগ রয়েছে রফিকুল ইসলাম পটুয়াখালী সদরের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ায় তিনি উপজেলার নমুনা গুলো পাঠানোর ক্ষেত্রে গড়িমসি করেন। নিয়মিত স্যাম্পল পাঠানো হলেও গ্যাড়াকলের যাতাকলে একটি ফলাফল আসেনি গত ৫দিনে।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ২৫-৩০ জন নমুনা প্রদানের আসলেও প্রতিদিন ১৫টির বেশি নমুনা সংগ্রহ করা হয়না। এমনকি নমুনা দেওয়ার পরে রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে ৮-১০ দিন। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করে পাঠনো হয়েছে ৪৪৮ জনের। গত ৫দিনে কোন ফলাফল পাইনি । এ পর্যন্ত ফলাফল পাওয়াগেছে ৩৩৮ জনের। উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭ জন মারা গেছেন, উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৫ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ জন।
উপজেলার একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন বশির আহম্মেদ ও সুমাইয়া আক্তার। তারা নিজেদের মধ্যে করোনার উপসর্গ অনুভব করলে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে এসে নমুনা দেন। গত দশদিন হয়ে গেল আজ পর্যন্ত তারা জানতে পারলেন না তাদের ফলাফল। এ কারনে যোগ দিচ্ছেন না তাদের কর্মক্ষেত্রে। এ ভাবে শুধু বশির আহম্মেদ কিংবা সুমাইয়া আক্তার নন উপজেলার অনেক মানুষই এমন পরিস্থিতর মুখোমুখি হয়েছেন। শুধু তাই নয়, নমুনা দিতে গিয়েও অনেক দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে হচ্ছেন অনেকেই।
ব্যক্তি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক করোনা প্রতিরোধ ও সচেতন করা কমিটির ইউনিয়ন পর্যায়ের এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, কোন ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে গেলে উপজেলায় তার ফলাফল আসতে সময় লাগে ৮ থেকে ১০দিন। ফলাফল না আসা পর্যন্ত নমুনা দেওয়া ব্যক্তির হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার নিয়ম থাকলেও তারা হাটবাজারে অবাধে চলাফেরা করেন। ৮-১০ দিন পড়ে যখন কারো ফলাফল পজেটিভ আসে তখন তারা আইসোলেশেনে যায়। এতে করে সংক্রমনের ঝুঁিক থেকে যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আখতারুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গির আলম বলেন, ‘সারা দেশেই একই সমস্যা। নমুনা পরীক্ষার হার বেশি হওয়ায় রিপোর্ট পেতে একটু বিলম্ব হচ্ছে।
তার কর্যালয় থেকে নমুনা পাঠাতে স্বজনপ্রীতি সিনিয়র ল্যাব টেকনেশিয়ান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, আরটিপিসিআরের ক্যাপাসিটি হিসাব করে নমুনা পাঠাতে হয়। এখানে কোন স্বজন প্রীতি হয় না।
প্রত্যয়ন পত্র
প্রত্যয়ন করা যাইতেছে যে, পটুয়াখালী জেলা পরিষদ স্মারক নং ৪৬.১০.৭৮০০.০০০.১৩.০১০.১৯ এর মাধ্যমে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের রাজস্ব খাতের আওতায় পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় নবায়নযোগ্য জালানি ব্যবহারের অংশ হিসেবে জেলা পরিষদ ডাক বাংলোয় সৌর প্যানেল স্থাপন প্রকল্পে ১,০০,০০০/= (এক লক্ষ) টাকা বরাদ্ব দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার লক্ষে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির আবেদন মতে প্রথম চলতি বিল পরিশোধ করার জন্য সুপারিশ করছি।
(মো: হারুন অর রশিদ)
সদস্য
৬নং আসন
পটুয়াখালী জেলা পরিষদ,পটুয়াখালী।
সূত্র: জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি) ঢাকা এর ২২-০৪-২০১৮খ্রি: তারিখের স্মারক : ৪৬.০১৮.০০০০.০০২.০২.০০৯.১৭/৮৪৫/১(১৩) মোতাবেক আপনার স্মারক ন৪৬.১০.৭৮০০.০০০.০০.০০০.১৮/২১২ তাং ২৬-০৪-২০১৮খ্রি:
বরাবর,
চেয়াম্যান
পটুয়াখাী জেলা পরিষদ,পটুয়াখালী।
বিষয়: উল্লেখিত সূত্রালোকে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট কর্র্তৃক “ জেলা পরিষদ প্রশাসন অবহিত করণ” শীর্ষক প্রশিক্ষন কোর্সের টিএডিএ পাওয়া প্রসঙ্গে।
জনাব্,
যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শণ পূর্বক নিবেদন এই যে, প্রোক্ত সূত্রোল্লেখিত স্মারক ও বিষয়ের আলোকে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট কর্র্তৃক “ জেলা পরিষদ প্রশাসন অবহিত করণ” শীর্ষক প্রশিক্ষন কোর্স ( ৮ম ব্যাচ) গত ০৯-০৫-২০১৮খ্রি: তরিখ এনআইএলজি ভবন ২৯, আগারগাঁও , শেরে বাংলা নগর ঢাকা -১২০৭ এ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ১দিনে প্রশিক্ষন কোর্সে আমি অংশ গ্রহন করে সফলভাবে সমাপ্ত করি (ছাড়পত্র স্মারক নং ৪৬.০১৮.০০০০.০০২.০২.০০৯.১৭-৮৮৬ তারিখ: ০৯-০৫-২০১৮খ্রি: সংযুক্ত)। আপনার সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে নি¤েœ বর্নিত টিএ ডিএ বিল দাখিল করা হল:-
০১. ০৮-০৫-২০১৮খ্রি: বাউফল উপজেলার নাজিরপুরস্থ নিজ বাসা থেকে কালাইয়া লঞ্চঘাট পর্যন্ত সিএনজি ভাড়া = ৩০০/-
০২. কালইয়া লঞ্চঘাট থেকে ঢাকা সদরঘাট এমভি ঈগল জাহাজের ভিআইপি ক্যাবিন ভাড়া = ৪০০০/-
০৩. রাতে খাবার = ৩৫০/-
০৪. সকাল ৬টায় ঢাকা সদরঘাট থেকে ফার্মগেট হোটেন গিভেনসি পর্যন্ত সিএনজি ভাড়া = ৪০০/-
০৫. সকালের নাস্তা = ১৫০/-
০৬. হোটেন গিভেনসির সিঙ্গেল রুম ভাড়া = ২২৫০/-
০৭. সকাল ৯টায় হোটেল গিভেনসি থেকে আগারগাঁ এনআইএলজি ভবন পর্যন্ত সিএনজি ভাড়া = ২৫০/-
০৮. দুপুরের খাবার = ৪৫০/-
০৯. প্রশিক্ষন শেষে সন্ধা ৬টায় ফার্মগেট হোটেল গিভেনসিতে পৌছাতে সিএনজি ভাড়া = ২৫০/-
১০. রাতে হোটেলে অবস্থান ও রাতের খাবার = ৪৫০/-
১১. ১০-০৫-২০১৮খ্রি: সকাল দুপুর ও বিকেলের খাবার বিল = ১০৫০/-
১২. ফার্মগেট হোটেন গিভেনসি খেকে সদরঘাট সিএনজি ভাড়া = ৫০০/-
১৩. ঢাকা থেকে কালাইয়া এমভি ঈগল লঞ্চে ভিআইপি কেবিন ভাড়া = ৪০০০/-
১৪. তিনদিনের হোল্ডিং বিল ( ডিএ) = ৬০০০/-
সর্বমোট = ২০৪০০/-
কথায় : বিশ হাজার চারশত টাকা মাত্র।
অতএব, প্রার্থনা আবেদনকৃত বিলটি পরিশোধ করতে জনাবের সদয় মর্জি হয়।