পঞ্চগড়ে বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ কোরবান আলীর ব্যবসায়ীক অফিসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে র্দুবৃত্তরা। বুধবার দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের কাজীপাড়াস্থ মিলন বাজারে এই হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায়, ভুক্তভোগি কোরবান আলীর পরিবার।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, এজাহারভুক্ত আসামীরা বালু ব্যবসায়ী কোরবান আলীর ব্যবসার ক্ষতিসাধন ও আর্থিকভাবে লোকসান করতে মরিয়া হয়ে ওঠে একটি চক্র। তারই ধারাবাহিকতায় বেশ কিছুদিন ধরে কোরবান আলীর গতিবিধি অনুসরণ করে আসছিল এক নম্বর আসামী রাজু মিয়া ও তার বাহিনী। একপর্যায়ে তারা বুধবার দুপুরে একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানীকে বালু সরবরাহের সূত্র ধরে দেশীয় অস্ত্রসহ কোরবান আলীর ব্যক্তিগত ব্যবসায়ীক অফিস এবং ট্রাক ট্যাংলরী শ্রমিক ইউনিয়ন ২০০০ এর আমতলা শাখায় হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। এ সময় নগদ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ও সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড নাটোর শাখার সাড়ে ষোল লক্ষ টাকার একটি চেক চুরি হয়ে যায় বলে এজাহারে উল্লেখ করা রয়েছে।
ভুক্তভোগী ট্রাক-ট্যাংলরী শ্রমিক ইউনিয়ন ২০০০ এর আমতলা শাখার সভাপতি মো: কোরবান আলী বলেন, আমার ব্যবসায়ীক সুনাম নষ্ট করতে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। ঘটনার সময় ব্যবসায়ীক কাজে আমি তেঁতুলিয়ায় ছিলাম। মুঠোফোনে জানতে পেরে তাৎক্ষনিক আমি ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে সহযোগিতা চাই। তিনি আরও বলেন, এই হামলায় ডলি কন্সট্রাকশনের আশি লক্ষ টাকার চালান হিসাব, আমার আইডি কার্ড, ভ্যাট এর ম্যামো বই, সুজন কন্সট্রাকশনের বিভিন্ন জেলায় পাথর-বালু সরবরাহের উনসত্তর লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার হিসাব ছাড়াও আলমারী, টেবিল-চেয়ার, টিভি ভাংচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে র্দুবৃত্তরা। এতে আমার ব্যবসার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে অপরপক্ষের একটি সূত্র জানায়, পূর্বে একটি টেন্ডার নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত ঘটে। ঘটনার দিন সকালে কাজীপাড়ার মাসুদ মিলন বাজারে গেলে আমতলা এলাকার কয়েকজন মিলে তার ওপর হামলা চালায়। এতে সে গুরুতর আহত হলে সুচিকিৎসার জন্য তাকে রংপুরে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্কাছ আহমেদ মুঠোফোনে বলেন, উভয়পক্ষই অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।