পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে রোগীরা। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নমুনা সংগ্রহের ১০ থেকে ১২ দিন অতিবাহিত হলেও রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় বিপাকে পড়ছে রোগী ও তার পরিবারের সদস্যসহ এলাকার মানুষ। বেশিরভাগ রোগীর নমুনা পরীক্ষা করতে দেয়ার দুই-তিন দিনের মধ্যে কোন লক্ষণ প্রকাশ না পাওয়ায় তারা অনেকটা স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। এতে করোনার সংক্রমন ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। তাই উপকূলের মানুষের দাবি উঠছে পটুয়াখালীতে একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের।
কলাপাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী উপজেলার ৩৭০ জনের করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হলেও রিপোর্ট আসে ২৪৭ জনের। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে ১৯ জন এবং মারা গেছে দুই জন। এখনও ১২৩ জনের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
গত ৮ জুন কলাপাড়া পৌর শহরের ছয় নং ওয়ার্ডের নাইয়াপট্রি এলাকায় ঢাকা ফেরত এক যুবক (পারভেজ) করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর ১৩ জুন আরও একজনের করোনা সনাক্ত হয়। এ ঘটনায় ১৪ জুন থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত নাইয়াপট্রি এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করে লকডাউন ঘোষনা করে উপজেলা প্রশাসন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দরিদ্র ৬৫ পরিবারকে খাদ্য সহায়তাও দেয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নাইয়াপট্রির ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ কররৈও ১২দিন পর ২৬ জুন এক গৃহবধুর করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসলেও বাকি ১৫ জনের এখনও রিপোর্ট আসেনি। একই অবস্থা কলাপাড়া থানা পুলিশের। গত ১৪ জুন কলাপাড়া থানা পুলিশের এক কনষ্টেবলের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হওয়ার পর থানার ১৬ পুলিশ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয। তাঁদের পৃথক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। কিন্তু গত ১১ দিনেও তাদের পরীক্ষার রিপোর্ট আসেনি। একই অবস্থা কলাপাড়া স্বাস্থ্যবিভাগের। গত ১৬ জুন ও ১৮ জুন কলাপাড়া হাসপাতালের দুই সিনিয়র নার্সের করোনা সনাক্ত হওয়ার পর হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু তাদের অধিকাংশের রিপোর্ট গত দশ দিনে আসেনি।
কলাপাড়া হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের পর তারা বরিশালে প্রেরণ করেন। অনেক সময় বরিশালে নমুনা জটের কারনে অনেক রিপোর্ট ঢাকা চলে যায়। এ কারনে রিপোর্ট আসতে দেরি হচ্ছে। যদি পটুয়াখালীর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি পিসিআর ল্যাব বসানো হতো তাহলে উপকৃত হতো এখানকার মানুষ।