প্রথম স্ত্রী ও দুই সন্তানের কথা গোপন করে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক ও পরে বিয়ের প্রলোভনে এক স্বাস্থ্যকর্মীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন কলেজ শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। এতে ওই স্বাস্থ্যকর্মী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরলে জোরপূর্বক তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করা হয়।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার মাছুয়াখালি এলাকার। অতিসম্প্রতি ওই শিক্ষক পুরো সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করায় ভূক্তভোগি স্বাস্থ্যকর্মী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
শনিবার সকালে মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, মাছুয়াখালি কমিউনিটি ক্লিনিকের ওই স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে কবাই ইউনিয়ন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক মোঃ সহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সুবাদে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে শিক্ষক তার নিজের প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের কথা গোপন করে ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ধর্ষণের একপর্যায়ে ওই স্বাস্থ্যকর্মী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরলে বিয়ের জন্য শিক্ষককে চাঁপ প্রয়োগ করেন। পরবর্তীতে ওই শিক্ষক কৌশলে স্বাস্থ্যকর্মীর গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলেন। এ ঘটনার কিছুদিন পরে শিক্ষক তাদের প্রেমের সম্পর্কের পুরো বিষয়টি অস্বীকার করায় উপায়অন্তুর না পেয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভূক্তভোগি স্বাস্থ্যকর্মী বাদি হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ওসি জানান, মামলা দায়েরের পর আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।