করোনাযোদ্ধা খ্যাত কুমিল্লার হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপ্তি চাকমা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এদিকে ইউএনও’র করোনা পজেটিভের খবরে উপজেলাবাসীর মনেও দুঃখের আঁচর পড়েছে। তার সুস্ততা কামনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানাভাবে শুভকামনা জানিয়েছেন অনেকে।
এদিন ইউএনও ও তার সরকারি গাড়িচালক, পিয়ন, নাইটগার্ডসহ নতুন মোট ২০ জন করোনা আক্রান্তের রিপোর্ট পাওয়া এসেছে। এ নিয়ে উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৯ জনে। ইউএনও তাপ্তি চাকমা উপজেলায় তার সরকারি বাসভবনে এবং বাকীরা নিজ নিজ বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে ইউএনও তাপ্তি চাকমা নিজে তার কোভিড-১৯ পজেটিভের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কোভিড ১৯ পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার কিছুক্ষণ আগেও তার দুবছর বয়েসী বেবিকে দুধ খাইয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বেবির জন্য বেশি চিন্তিত আছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি গত ২২ জুন সকালে উপজেলা পরিষদের দাপ্তরিক ফাইলপত্র সই করতে গিয়েই পরিষদের একজনের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারেন; যা ওইদিন বিকেলে জানতে পারেন ফাইল সই করে নেওয়া একজন করোনা পজেটিভ।
ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ, বিস্তার ও এর প্রভাব মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সচেতনতা সৃষ্টি, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ, বিদেশ প্রত্যাগত এবং আক্রান্ত ব্য্িক্তদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত ও লগডাউন কার্যকরে নিরলস ভূমিকা রেখে জেলায় বিপুল প্রশংসা কুড়িয়েছেন ইউএনও তাপ্তি চাকমা।
বাসায় ইউএনও’র দুবছরের দুগ্ধপোষ্য একটি পুত্র সন্তান, স্বামী, শ^াশুরী ও কাজের মেয়ে রয়েছেন। তারা সকলেই ভালো আছেন। রবিবার তাদেরও কভিড ১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। তিনি তার দুগ্ধপোষ্য পুত্র সন্তান ও পরিবারের সবার জন্য দোয়া চেয়েছেন। পাশাপাশি উপজেলার সকলকে সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
সবার কাছে দোয়া চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইইএনও) তাপ্তি চাকমা বলেন, ’ আমার করোনা পজিটিভ এসেছে। তবে তেমন কোনো উপসর্গ নেই আমার। শুধু সাধারণ হালকা গলাব্যথা আছে। তবে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছি। ২২ জুন সকালে উপজেলা পরিষদের একজনের ফাইল সই করেছি, বিকেলে যার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। সন্দেহবশতঃ ২৫ জুন আমিসহ আমার গাড়িচালক, পিয়ন ও নাইট গার্ডের নমুনা পরীক্ষা করাই এবং আমাদের ক্লোজ কন্টাক্টে যারা আসেন তাদেরও পরীক্ষার জন্য বলি। যেহেতু জ¦র, কাশি কিছুই নেই- তাই ডক্টর শুধু ভিটামিন, জিংক, ভিটামিন-সি এই জাতীয় ওশুধ দিয়েছেন। সাথে গরম পানি খেতে বলেছেন; তাই করছি।