কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচর হতে চৌরাস্তা হয়ে নিকলীর সাজনপুর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা খানাখন্দে ভরে রয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন নিকলী হতে চট্টগ্রাম, নিকলী হতে ঢাকা বাস চলাচলসহ কয়েকশত সিএনজি, অটোবাইক, শত শত ট্রাক চলাচলের ফলে গত ৮/১০ বছর ধরে বড় বড় গর্তের সৃষ্টির কারণে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। গত দুই বৎসর আগে সাজনপুর রাস্তার মধ্যে সিএনজি, অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও কয়েকজন আহত হওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। এদিকে পুড্ডা হতে সাজনপুর হয়ে সরারচর চৌ-রাস্তা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকার রাস্তা নির্মানের জন্য এলজিইডি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রহি কনস্ট্রাকশন, ঢাকা এ রাস্তার নির্মান কাজ দুই বৎসর আগে নিলেও অর্ধেক কাজ করে গত ছয় মাস ধরে রাস্তার মধ্যে ইটের সুরকি ফেলে রেখে অর্ধেক বিল নিয়ে হাওয়া হয়ে যায় বলে নিকলী এলজিইডি অফিস সূত্রে জানাগেছে। বাকী ৫ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে জনগণকে বিভিন্ন যান দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। এ বিষয়ে কেহরই মাথা ব্যথা নেই। নিকলী এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল গনির সঙ্গে গতকাল যোগাযোগ করা হলে তিনি যায় যায় দিন প্রতিবেদককে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে। কবে কাজ শুরু হবে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সঠিক জবাব দিতে পারেন নি। নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামছুদ্দিন মুন্না এ প্রতিবেদককে জানান, শুধু এ রাস্তা নয় উন্নয়ন কাজের জন্য ফান্ডের কোন অভাব নেই। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে উন্নয়ন কাজ এখনো পর্যন্ত ব্যহত হয়নি বলে উল্লেখ করেন।