বৈশ্বিক মহামারির এ সময়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের তথাকথিত সাংবাদিক নামধারী নিজেকে করোনা রোগী সাজিয়ে প্রশাসনকে বিব্রতরকর পরিস্থিতিতে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসান ইমাম রাসেল নামে এ ব্যক্তি সেই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মোহাম্মদ নগর গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী সিরাজদ্দৌলার ছেলে।
জানা যায়, কারোনাকালে উপজেলার বসুরহাট বাজার ও আশপাশের বাজারগুলোতে প্রতিনিয়ত সাংবাদিকতার দাপট দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের কে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ডাক্তারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে করোনা রোগী সেজে নিজের নাম গোপন রেখে মেহেদী হাসান নামে প্রতারণার মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে প্রণোদনা অর্থ আদায়ের জন্য এই প্রতারণার আশ্রয় নেই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে হাসান ইমাম রাসেল নামে কোন করোনা রোগী নেই। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দেয়া বসুরহাট পৌরসভার মেহেদী হাসানের নামে পজেটিভ রিপোর্টকে নিজের বলে দাবী করেন এবং প্রশাসনকে সিরাজপুরের তার নিজ বাড়ি লকডাউন করতে বাধ্য করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ সেলিম জানায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসান ইমাম রাসেল নামে কোন করোনা রোগী না থাকায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তিনি ওই নামের একজনের বাড়ি লকডাউনের বিষয়টি স্বীকার করেন।
এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ জানান, ভুল তথ্য দিয়ে করোনার স্যাম্পল দেয়া বা অন্যের রিপোর্ট নিয়ে নিজে করোনা রোগী সাজা দুটোই অপরাধ। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৪সালের ৭ জানুয়ারী উপজেলার বসুরহাট বাজারের সিরাজ ভবনে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান এর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী গাঁজ ও মদসহ হাসান ইমাম রাসেল কে গ্রেফতার করে ১বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এরপর ২০১৮ সালে ২৮ জানুয়ারী নোয়াখালী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রোকনুজ্জামানের নেতৃত্বে ট্রান্সপোর্ট বসুরহাট উত্তর বাজারে একই ভবনে অভিযান চালিয়ে ফেন্সিডিল উদ্ধার করে হাসান ইমাম রাসেলকে আসামি করে নোয়াখালী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তরের পরিচালক চৌধুরী ইমরুল কায়েস বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ে করেন, মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।