গত কয়েক দিনের অব্যাহত বৃষ্ঠিপাত এবং উজানের ঢনের পানি নেমে আসায় ভাইজান নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেসবা তেলিপাড়া গ্রামের প্রায় ৩০ পরিবার আতঙ্কে রয়েছে। যে কোন সময় তাদের বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। সেই সাথে জনগনের যোগাযোগের একমাত্র সড়কটিও নদী ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, নদীর ভাঙন অব্যাহত থাকায় কেসবা গ্রামের তেলিপাড়া এলাকার ৩০ পরিবারনদী গর্ভে বিলীন হওয়া উপক্রম দেখা দিয়েছে। শহরের সাথে ওই এলাকার জনগনের যোগাযোগের একমাত্র সড়ক ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ওই গ্রামের রুস্তম জানান, কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে নদী ভাঙন ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। এখনই যদি নদী ভাঙ্গন রোধ করা না যায় তাহলে দুই এক দিনের মধ্যেই তার একমাত্র বসতবাডী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এ অবস্থায় বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নেয়া ছাড়া তার কোন উপায় থাকবে না। একই গ্রামের বাসিন্দা জামিন, ফরিদুল আমিন জানান, এখনই সড়কসহ নদীর তীরে স্থায়ী বাঁধ না দিলে আরো অনেক বাড়ি ঘর ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নদী ভাঙ্গনের খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আবুল কালাম বারি পাইলট,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডেও এসডি মোফাখখারুল ইসলাম নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শণ করেন এবং তা দ্রুত মেরামতের আশ^াস দেন।