জ্বরসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ থাকায় গত ১৩জুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন খানসামা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও আঙ্গারপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ধীমান দাস। শারিরিকভাবে সুস্থ্য থাকার ১৫দিন পর ওই পরীক্ষার রিপোর্ট আসে করোনা পজিটিভ।
রোববার রাতে ১৫দিন পর খানসামা উপজেলার পাকেরহাট গ্রামের ওই আওয়ামী লীগ নেতার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অথচ নমুনা দেয়ার পরদিন ১৪জুন থেকে তিনি শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ্য আছেন বলে জানান আওয়ামী লীগ নেতা ধীমান দাস।
আওয়ামীলীগ নেতা ধীমান দাস জানান, ১৩জুন জ্বরসহ অসুস্থ ছিলাম। তাই চিকিৎসকদের জানালে তারা করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেন এবং দিনাজপুর ল্যাবে পাঠান। নমুনা দেয়ার পরদিন ১৪জুন থেকে আমার কোন অসুস্থ্যতা ছিল না। কিন্তু ১৫দিন পর রোববার রাতে ওই রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। এ কারণে চিকিৎসকরা আরও কয়েকদিন বাড়ীতে থাকতে বলেছেন।
খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ শামসুদ্দোহা মুকুল জানান, করোনা পজিটিভ পাওয়ার পর ওই রোগীকে ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। অসুস্থতার কোন উপসর্গ না থাকলে তাকে সুস্থ্যতা বলা হয়। তবে অসুস্থ থাকলে ২১দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়। ধীমান দাস ৮জুন থেকে অসুস্থ ছিলেন। ১৩জুন নমুনা নেয়া হয়। ধীমান দাসের ক্ষেত্রে নমুনা দেয়ার পর ১৪দিন পার হয়েই গেছে। সে সুস্থও আছেন। এরপরেও তাকে কয়েকদিন থাকতে বলা হয়েছে এবং তাকে আরেকবার চিকিৎসকরা েেদখে সুস্থ্যতা ঘোষনা করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৫দিন পর খানসামা পাকেরহাট গ্রামের বাসিন্দা ধীমান দাসের করোনা পজিটিভ আসে। দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর মেশিনে দৈনিক ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা যায় কিন্তু দিনাজপুরসহ ৪টি জেলা থেকে প্রতিদিন অধিক সংখ্যক নমুনা আসায় রিপোর্ট পেতে বিলম্ব হচ্ছে। পিসিআর মেশিনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে এই সংকট দূর হবে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়।