জাতীয় তথ্য বাতায়নে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেমন কোনো তথ্যই মিলছে না। দু’একটি তথ্য মিললেও সেটিও সীমিত পরিসরে। তাও আবার অধিকাংশ সরকারি অফিসগুলো তথ্যটিও হালনাগাদ করা নেই। বেশ কয়েক বছর আগে চলে যাওয়া কর্মকর্তার ছবি ও নম্বর এখনো দেখাচ্ছে সেখানে। সরকার যখন তথ্য’র অবাদ প্রবাহ নিশ্চিত ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে ঠিক সে সময় জাতীয় তথ্য বাতায়নে তথ্য না থাকায় ক্ষোভ জানিয়েছে সুধি মহল। সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের উদাসীনতা ও নজরদারি না থাকার কারণে জাতীয় তথ্য বাতায়নে তথ্য’র গড়মিল। আর অদক্ষতার জন্যই সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ কেবল নাম পরিচয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। সচেতন মহলের দাবি সকল দপ্তরে সকল কর্মকর্তা কর্মচারী নাম,ছবি,মোবাইল নম্বর সহ পূর্নাঙ্গ ঠিকানা থাকতে হবে। তা না হলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ পৌছাতে বেগ পেতে হবে। সচেতন মহলের দাবি সরকারের সকল বরাদ্দ ও প্রকল্পের ব্যয় সহ সকল উন্নয়ন চিত্র সংশ্লিষ্ট দফতরের তথ্যবাতায়নে দিলে কর্মকান্ডের সচ্ছতা ও জবাব দিহিতা নিশ্চিত হবে।
গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে মীর হাবিবুল বাশার কর্মরত থাকলেও তথ্য বাতায়নে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের নাম ও ছবি রয়েছে। গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কোন তথ্য নেই তথ্য বাতায়নে। সাব রেজিস্টার পদে মাহফুজ রানা কর্মরত থাকলেও তথ্য বাতায়নে নাম রয়েছে সাবেক সাব রেজিষ্টার ইমরুল হাসানের। উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল অফিসের কোন তথ্যই নেই। উপজেলা কৃষি অফিসারের কোন নামই নেই তথ্য বাতায়নে। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কিছু তথ্য থাকলেও পূর্নাঙ্গা তথ্য নেই। পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তা আবদুল মান্নান ৪ বছর আগে বদলী হলেও তিনিই এখন কর্মরত রয়েছে এমন তথ্য রয়েছে তথ্য বাতায়নে। পল্লী সঞ্চয় ব্যাঙ্ক,একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন ৩ বছর আগে বদলী হলেই তার নাম তথ্য বাতায়নে রয়েছে। আর কোন তথ্যই নেই। গাংনী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম শৈলেন্দ্র নাম ৩ বছর পূর্বে বদলী হলেও তার নাম রয়েছে তথ্য বাতায়নে। উপজেলা হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে মৃগেন্দ্র নাথ সাহার নাম রয়েছে তথ্য বাতায়নে। তিনি অন্তত ৪ বছর আগে বদলী হয়েছে। গাংনী থানার তথ্যবাতায়নে দেখা যায় ছবি দেয়া আগে ৫ বছর আগে চলে যাওয়া তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুল আলমের। আর নাম দেয়া আছে রিয়াজুল আলমের। এখানে কোন থানা কিংবা পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরতদের নামের তথ্য নেই। আনসার ভিডিপি কর্মকর্তাদের নামের তথ্য থাকলেও আনসার সদস্যদের নামের তালিকা নেই তথ্য বাতায়নে। এ ছাড়া কলেজ,মাধ্যমিক বিদ্যালয়,নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়,মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন তথ্যই নেই বাতায়নে। ব্যাংক বীমা,মসজিদ,এতিমখানা গীর্জা,মন্দিরের কোন তথ্যই নেই। বামুন্দী ইউপি গ্রাম পুলিশের তালিকায় স্বাস্থ্য সহকারীদের নাম রয়েছে। ষোলটাকা ইউপিতে রয়েছে মৃত সদস্য’র কামাল হোসেনের নাম। সাহারবাটিতে গ্রাম পুলিশের তালিকা নেই। কাথুলী ইউপিতে অবসরপ্রাপ্ত সচিবেরে নাম রয়েছে। এ অবস্থার জন্য স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদাসীনতা ও অদক্ষতাকে দায়ী করছেন। এ বিষয়ে কথা বলতে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর একাধিকবার গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেনি।