গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়ছে মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৮০ সে.মি. ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৫৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন, গাইবান্ধা সদরের ৩টি, ফুলছড়ির ৬টি ও সাঘাটার ৩টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর রাস্তাঘাট। বাড়িঘরে পানি ওঠায় বন্যা কবলিত মানুষ গবাদিপশু নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও উঁচু স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে।
এদিকে বন্যা মোকাবেলায় ও বন্যার্ত মানুষদের দূর্ভোগ লাঘবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলাসহ ত্রান তৎপরতায় কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন।