লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার দক্ষিন হাজীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানে বিকল্প টিনসেট ঘর নির্মান ও স্লিপের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সৃষ্ট ঘটনায় প্রধান শিক্ষক সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে।
সুত্রে জানায়,শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে দক্ষিন হাজীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিকল্প টিনসেট ঘর নির্মানে ৩লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়। পাশাপাশি স্লিপের ৫০ হাজার এবং প্রাক প্রাথমিকের ১৯ হাজার টাকা বরাদ্ধ হয়। গ্রামবাসী মাহাবুব,আমির হোসেন,মুকলেসুর রহমান সহ কয়েকজন বলেন,প্রাক প্রাথমিক ও স্লিপের টাকা প্রধান শিক্ষক গৌরি রায় চৌধুরী নিজেই আত্মসাৎ করে। অপর দিকে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটিকে ম্যানেজ করে প্রধান শিক্ষক কয়েকদিন পুর্বে একটি বৈঠক করে বিকল্প টিনসেট ঘর নির্মানে ৩০ মে এবং ৯জুন দুটি রেজুলেশন প্রস্তুত করে ৪৬ এমএলের স্থলে ১৮ এমএল টিন এবং নিম্মমানের উপকরন দিয়ে টিনসেট ঘর নির্মান কাজ শুরু করে। এলাকাবাসীর অভিযোগে ২৮ জুন দায়িত্বরত সহকারী প্রকৌশলী এবং ২৯ জুন উপজেলা প্রাথমিক ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে পুনরায় কাজ করার নিদের্শ দেন। প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক মোঃ ইসমাইল এবং এরশাদ হোসেন বলেন,কাজের সিডিউল না দেখে প্রধান শিক্ষক কাজ করালে নিম্মমানের হওয়ায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ডাঃ হারিছ মিয়া বলেন,টিনসেট ঘর নির্মানে কত টাকা বরাদ্ধ এবং কিভাবে করতে হবে,তার কিছুই প্রধান শিক্ষক জানানি। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গৌরি রায় চৌধুরীকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে বলেন,সাংবাদিকদের সাথে আমার কোন কাজ নেই। প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম হলে উর্ধবতম কর্তৃপক্ষ দেখবে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দৌলতর রহমান বলেন,১৮এমএলের টিন সর্ম্পন খুলে ৪৬এমএলের টিন না লাগানো পর্যন্ত বিল দেওয়া হবে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসীর জাহান বলেন,বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।