নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুরে টানা বর্ষনে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নেতাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ঐ নদীর বেড়ি বাঁধ না থাকায় উপজেলার গাওকান্দিয়া ইউনিয়নের বন্দ উষান,ভাদুয়া, জাকিরপাড়া,শ্রীপুর সহ ১২টির বেশি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আজ মংলবার দুপুরে ঐ পানিবন্দি এলাকা ঘুরে এমন করুণ চিত্র দেখা গেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্দ উষান গ্রামের জয়নাল আবেদীন এর বাড়ি সহ বেশ কয়েকটি বসতঘর নদীগর্ভে চলে গেছে। গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নৌকা ও কলার ভেলা তৈরি করে মানুষ প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নেওয়ার চেষ্টা করছে। বয়স্ক ও শিশুদের নিয়ে চরম উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন পানি বন্দি পরিবার গুলো। চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বন্দ উষান বাজার, স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসা, মসজিদ সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা। চরম ঝুঁকি ও বিলীনের শস্কায় রয়েছেন অসংখ্যা ঘরবাড়ি বাসিন্দারা।যেকোন সময় নদী গর্ভে তাদের ঘরবাড়ি বিলিন হতে পারে বলে আতঙ্কে রয়েছেন বন্দ উষান বাজারের আশপাশের প্রায় ত্রিশটির বেশি পরিবার। চলমান ভাঙন যে কোনোভাবে প্রতিরোধ না করা গেলে গ্রামের হাজার হাজার বিঘা কৃষি জমি, ঘরবাড়ি, বাজার,মসজিদসহ সবকিছু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এমনই শস্কায় ভুগছেন স্থানীয়রা। ভুক্তভোগী আবদুর রহমান জানান, নদী ভাঙনের ফলে ঘর-বাড়ি বেঁধে রাতে ঘুমানোর জায়গাটুকু পর্যন্ত বিলীন হয়ে গেছে। আমার মৃত্যুর পর নিজের লাশটি অন্যের জমিতে কবর দিতে হবে বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। সম্প্রতি অন্যের জায়গায় ঘর করে জীবিকা চালাচ্ছেন তিনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘদিন যাবত সেখানে কেনো নদী রক্ষা বাঁধ নির্মান হয়নি। জরুরী ভিওিতে বাঁধ নির্মাণ কল্পে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নেত্রকোনা জেলার উপ-প্রকৌশলী মোঃ রহিদুল হোসেন খান এ প্রতিবেদককে জানান, বন্যার পানি এখন কমতে শুরু করেছে। তবে আকস্মিক বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়া বেশক’টি জায়গায় বেড়ি বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ওইসব জায়গায় বাঁধ দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে ইউএনও ফারজানা খানম বলেন ঊর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষের সাথে কথা বলে জরুরী ভিওিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভাঙন রোধে বিশ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। অচিরেই কাজ শুরু করা হবে।