সরকার ও উচ্চ আদালত কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত থ্রি-হুইলার সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা মহাসড়কে অবৈধভাবে চলাচলের প্রতিবাদে ঢাকাণ্ডসিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা। এ ছাড়া করোনাকালে সকল যানবাহন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে বাধ্য করার দাবী করা হয়। মঙ্গলবার সকালে জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে সরাইলের বিশ্বরোড মোড়ে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। পরে এক পথ সভায় উভয় দাবী আদায়ের জন্য ৭ দিনের সময় সীমা বেঁধে আল্টিমেটাম দিয়েছেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার সকালে সরাইলের বিশ্বরোড মোড় ও আশপাশের সড়ক অবরোধ করে বসেন জেলা মালিক শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরে তারা সড়কের উপরই একটি পথ সভায় মিলিত হন। এ সময় মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট বেঁধে যায়। পথ সভায় বক্তারা বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশের পর সরকার মহাসড়কে থ্রি-হুইলার গাড়ি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এই আদেশ অমান্য করে দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কে দেদারছে চলছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত রিকশা।এ গুলি যাত্রী ও পথচারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অনতিবিলম্বে সরাইল-আশুগঞ্জ-মাধবপুর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মহাসড়কে থ্রী হুইলার যান সমূহ চলাচল বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া সরকারের নির্দেশ থাকা সত্বে এখনো অনেক যানবাহন স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই মহাসড়কে চলাচল করছে। যা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি করতে পারে। সড়কে চলাচলকারী সকল যানবাহনকে স্বাস্থ্য বিধি মানতে বাধ্য করার দাবী জানান। তারা উপরোল্লেখিত দুটি দাবী আদায়ের জন্য ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে দাবী আদায় না হলে পরবর্তীতে আবারও কর্মসূচি দেওয়া হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক শ্রমিক নেতা বলেন, কোথায় বলব দু:খের কথা? সড়কে চলাচলকারী প্রত্যেকটি বাস কোচ থেকে বিশ্বরোড মোড়ে ৬০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। আর ৬০ টাকা থেকে ৩০ টাকা দিতে হয় জেলার জনৈক নেতাকে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে এ চাঁদা আদায়। হিসাব করে চাঁদার বিরাট অংশ চলে যায় জেলার নেতাদের পকেটে। বাকি টাকা বিশ্বরোড মোড়ে হয় ভাগবাটোয়ারা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া ও লোকাল বাস মালিক সমিতির সম্পাদক মো. নিয়ামত খান বলেন, দাবী আদায়ের জন্যই শান্তিপূর্ণ অবরোধ ও পথসভা করেছি। ৭দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি। উপস্থিত ছিলেন-লোকাল বাস পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল বাশার, শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মো. সেলিম মিয়া, সম্পাদক মো. আনিছুর রহমান চৌধুরী ও আশুগঞ্জ শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আলমগীর। বিশ্বরোড হাইওয়ে থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরূজ্জামান বলেন, তাদের আন্দোলনের জন্য নয়। আমরা উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ি চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ রেখে আসছি অনেক পূর্ব থেকেই। নিয়মিত ব্যবস্থা ও নিচ্ছি।