নেত্রকোনার কালমাকান্দা উপজেলায় মেঘালয়ের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দোকানঘর সহ ১০টি বসতঘর মহাদেও নদী গর্ভে ধসে পড়েছে। হুমকির মধ্যে রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি দোকানঘর ও প্রায় অর্ধশত বসতবাড়ি এবং শঙ্কায় রয়েছে সীমান্তে বিজিবি’র একটি বর্ডার অবজারবেশন পোষ্ট (বিওপি)।
বুধবার সকালে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার সীমান্তবর্তী রংছাাতি ইউনিয়নের মহাদেও নদীর বরুয়াকোণা বাজারের মো. মজনু মিয়ার দোকান ঘর নদী ভাঙনে মাটি ধসে নদীতে চলে গেছে ও মো. সুমন সহ আরও বেশ কয়েকটি দোকান ঘর হুমকির মধ্যে রয়েছে। ওই ইউনিয়নের তীরবর্তী পেঁচামারী গ্রামের ডা. চাঁন মিয়া, সাদ্দাম, কামাল মিয়া, ইছব মিয়া, রমিজ উদ্দীন ও বরুয়াকোণা বাজারে শহিদুল ঘর-বড়ি চলে গেছে নদীতে। আবার নতুন করে পাহাড়ি ঢল দেখা দিলে অন্তত প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার রয়েছে নদী ভাঙনের হুমকিতে। এছাড়া বরুয়াকোনা এলাকায় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিজিবি’র এক চৌকি (বিওপি) রয়েছে শঙ্কার মধ্যে রয়েছে।
স্থানীয়রা আক্ষেপ করে জানান, বিগত কয়েক বছর থেকে এ পর্যন্ত পাহাড়িয়া মহাদেও নদীর তীরবর্তী চিকুনটুপ, পেঁচামারি, মৌতলাসহ বরুয়াকোণা বাজারের প্রায় শতাধিক ঘর-বাড়িসহ দোকান বিলীন হয়ে গেছে। এ যেন দেখার কেউ নেই !
ভাঙন কবলিত এলাকাবাসিরা আরও জানান, দীর্ঘদীন যাবৎ স্থানীয় ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের কোন পদক্ষেপ দেখা মেলেনি। তাদের দাবী নদীর তীর ভাঙনের দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে হয়তো আবারও ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে তীরবর্তী বরুয়াকোণা বাজারে ঝুঁকিতে থাকা দোকানঘর ও পেঁচামারি গ্রামের অন্তত অর্ধশাতিক বাড়ি-ঘর বিলীন হয়ে পড়বে। এ ব্যাপারে সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী পদক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
স্থানীয় রংছাতি ইউপির চেয়ারম্যান তাহেরা খাতুন বলেন, মহাদেও নদীর ভাঙনে ধসে পড়া দোকান সহ ১০টি ঘর নদী গর্ভে চলে গেছে। এ তালিকা ইউএনও মহোদয়কে জানানো হয়েছে। তীরবর্তী অর্ধশতাধিকের উপর বাড়ি-ঘর, বরুয়কোণা বাজার ও শঙ্কায় থাকা বিজিবি’র বিওপি রক্ষার্থে স্থানীয় সাংসদ, প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমন প্রত্যাশা এই জনপ্রতিনিধির।
নেত্রকোনার বিজিবি’র ৩১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল সাব্বির আহমেদ শঙ্কায় থাকা বরুয়াকোনা বিওপি বিষয়ে বলেন, পানি উঠেছে, ঝুঁকিতে রয়েছে তবে পুরোপুরি ঝুঁকিতে এখনো যায়নি । এ নিয়ে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। নিজেদের ব্যক্তিগত উদ্যেগে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এব্যপারে কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহাদেও নদীর ভাঙনের কথা জানালে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। উর্ধ্বতন সহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়টি অবগত করেছি।