কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার সিংপুর, দামপাড়া ও ছাতিরচর থেকে ক্ষমতাশীল দলের প্রভাবশালী নেতারা প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে বালি উত্তোলনের মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছেন। গত কিছুদিন আগে নিকলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুদ্দিন মুন্না সিংপুর নদী থেকে এক বালি উত্তোলনকারীকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেন। এছাড়া জারইতলা ইউনিয়নে রুদারপুড্ডা এলাকায় আসলাম নামে এক ব্যক্তি দিবালোকে বালি উত্তোলন করে আসছেন। কিন্তু ছাতিরচর ও দামপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়া থেকে ইউনিয়ন ভিত্তিক নেতারা এই সব নদী থেকে বালি উত্তোলন করার ফলে নদী তীরবর্তী এলাকার কয়েক হাজার গ্রামবাসী নদীতে বাড়ি গুলো নদীতে ভেঙ্গে যাচ্ছে। নদীর পাড়ের কয়েকজন গ্রাম বাসীর সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার আলাপ করলে তারা এই প্রতিবেদককে বলেন, প্রশাসন ও আওয়ামীলীগ নেতাদের সঙ্গে বালি উত্তোলন বন্ধ করতে পারছেন না। এদিকে বাজিতপুর উপজেলার দিঘীরপাড়, মাইজচর, হাসানপুর ও কৈলাগ ইউনিয়নের শবরিকান্দাচর থেকে একটি প্রভাবশালী মহল গত কয়েকদিন ধরে নির্বাচারে ঘোড়াউত্রা নদী থেকে বালি উত্তোলন করে আসছে। এই সময়ে প্রভাবশালী মহলটি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যান। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন যেন একেবারেই নিরভূমিকা পালন করে আসছে। অন্যদিকে নদী তীরবর্তী এলাকার হাসানপুর, মাইজচর সহ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার গ্রামবাসী গোড়াউত্রা নদীতে ৪ থেকে ৫ হাজার বাড়ী ঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়েগেছে। তারা বাজিতপুর ছেড়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ভাসমান অবস্থায় স্ত্রী পুত্র নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কেহ আবার ভিক্ষাবৃত্তি পেশায় ও নেমে গেছেন। করোনা ভাইরাসে শহরের তাদের জীবন এখন বিপন্ন হয়ে পরেছে বলে এসব নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের মন্তব্য। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবেন কি?