নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষিচাপ ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে বর্তমানে তিলের চাষে ঝুকে পড়েছেন কৃষকরা। অন্যান্য ফসলের চেয়ে তিল চাষে খরচ কম পড়ায় কৃষকরা এ আবাদে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ইউনিয়নের ৪ হেক্টরসহ উপজেলায় মোট ৫ হেক্টর জমিতে তিলের চাষ করা হয়েছে। খরিপ ওয়ান মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া থাকায় তিলের ফলন হয়েছে বাম্পার। ওই এলাকার তিল চাষিরা জানান, তিল চাষ করতে গিয়ে আমাদের যেমন খরচ কম লাগছে তেমনি শ্রমও দিতে হয় অনেক কম। এক কথায় অনেকটা সহজেই তিল চাষ করে ফসল ঘরে উঠা যায়। তাছাড়া বর্তমান বাজারে তিলের যেমন চাহিদা রয়েছে প্রচুর তেমনি মূল্যও বেশ ভালো। ন্যায্য দাম ও প্রচুর চাহিদা থাকায় তিলের চাষ করে আমরা অনেকটা লাভবান। তাই আমাদের দেখাদেখি অনেকে এখন তিলের চাষে ঝুকে পড়ছেন। তিল বীজ বপনের ৮০ থেকে ৮৫ দিনের মধ্যে জমি থেকে ফসল ঘরে তোলা যায়। অপরপাশে রয়েছে তিলের নানামূখি ঔষধি গুণ। এদিক দিয়েও বাজারে তিলের বাড়তি চাহিদা রয়েছে। লক্ষিচাপ দুবাছুড়ি এলাকার তিল চাষী বেলাল হোসেন বলেন ধান, পাট ও ভুট্টাসহ অনান্য্য ফসলের চেয়ে তিলের আবাদে লাভ বেশি। তামাক চাষের পর পরিত্যক্ত জমিতে স্বপ্ল খরচে তিল চাষ করা যায়। এ চাষ করে কৃষক বাড়তি একটা অর্থ আয় করতে পারে। তবে কৃষি বিভাগের মরামর্শ পেলে একদিকে যেমন তিলের চাষ বাড়বে অন্যদিকে কৃষকরা লাভবান হবে।
তিল ব্যবসায়ি বেলাল হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে প্রতি মণ তিল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজর ৫শ’ টাকায়। যা গত বছরের চেয়ে ৫ থেকে ৭শ’ টাকা মনে বেশি। সদর উপজেলা কৃষিবিদ কামরুল হাসান জানান, ভালো জাতের বীজ সরবরাহ, কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে। যার ফলে আবাদও হয়েছে প্রচুর। পাশাপাশি ফলনও হয়েছে বাম্পার। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় এবং অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় ফলন ভালো হয়েছে।