নওগাঁর পত্নীতলায় নজিপুর পৌরসভার বিরুদ্ধে গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে পল্লী বিদ্যুৎ এর বিল পরিশোধ না করার খবর পাওয়া গেছে। এই বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ প্রায় ১৭ লাখ টাকা। বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্ত্তৃপক্ষ পৌরসভাকে তাগাদা দিলেও বকেয়া বিলের টাকা পরিশোধ করা হয়নি বলে জানা গেছে। এদিকে প্রায় ৫ বছর ধরে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করলেও নওগাঁ পল্লী ্িবদ্যুৎ সমিতি পত্র প্রেরণের মাধ্যমেই তাদের দায়িত্ব শেষ করেছে।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে নজিপুর ও পত্নীতলা ইউনিয়নের আংশিক এলাকা নিয়ে নজিপুর পৌরসভা গঠন করা হয়। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সর্বশেষ নজিপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালে নজিপুর পৌরসভা প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত হয়। পৌরসভার পানি সরবরাহ, রাস্তার বাতি, ভবন ইত্যাদিতে ব্যবহারের জন্য ১১টি আলাদা বিদ্যুতের মিটার রয়েছে। ২০১৬ সালে বর্তমান পরিষদ ক্ষমতায় আসার পর শুধুমাত্র পৌর ভবনের বিদ্যুৎ বিল ছাড়া অন্যকোন বিল পরিশোধ করেননি। অন্যদিকে জানুয়ারী ২০২০ মাসের পর থেকে পৌর ভবনের বিদ্যুৎ বিল প্রদানও বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে পৌরসভার অনাদায়ী বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৭লাখ টাকা। এদিকে পৌরসভার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ থেকে বার বার লিখিত তাগাদা দেওয়া হলেও পৌরসভা কর্ত্তৃপক্ষ তাতে কর্ণপাত করছেন না বলে জানা গেছে। সাধারণ গ্রাহকের ২/৩ মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকলে পল্লী বিদ্যুৎ কর্ত্তৃপক্ষ যখন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য উঠেপড়ে লেগে যায় সেখানে পৌরসভার ১৭লাখ টাকা বকেয়া বিল থাকার পরও কিভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বহাল থাকে সে নিয়ে চরম সংশয় প্রকাশ করেছে এলাকার সচেতন মানুষ।
এ বিষয়ে কয়েকজন এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, পৌরসভার বর্তমান পরিষদ ক্ষমতায় আসর পর পৌর ট্যাক্স কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। এ সময় এলাকাবাসী ট্যাক্স নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তোলেন পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে এবং পৌর বাসিন্দাদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। ট্র্যাক্সের পরিমাণ ২/৩গুণ বাড়ানো হলেও ১৭লাখ টাকা কিভাবে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকে সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার নুরুল ইসলাম জানান, ১৮জুন ২০২০ তারিখে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য পৌর কর্ত্তৃপক্ষের নিকট পত্র প্রেরণ করা হয়। কিন্তু পৌর কর্ত্তৃপক্ষ বিল পরিশোধ না করায় উদ্ধর্তন কর্ত্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্ত্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে নজিপুর পৌর মেয়র মো. রেজাউল কবির চৌধুরী বলেন, করোনার কারণে বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়নি। ২০১৬-২০১৭ সালের বিল বকেয়া প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকেন।