নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বাহাগিলীরঘাট বেইলী ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দুর্ঘটনা বাড়ছে। ব্রিজের এক স্থানে পাটাতন সরে গিয়ে নিচে পড়ার উপক্রম হয়েছে। আরেক স্থানে পাটাতন বেঁকে উঁচু হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। কিশোরগঞ্জ হতে তারাগঞ্জ সড়কের ওই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। গত এক মাসে ইউপি চেয়ারম্যানসহ অসংখ্য পথচারী দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে জানা যায়, আশির দশকে চাড়ালকাটা নদীর ওপর বাহাগিলীরঘাট বেইলি ব্রিজটি নির্মিত হয়। গত দুই বছরে একাধিকবার ব্রিজের ষ্টিল পাটাতন খুলে পথচারীসহ নদীতে পড়ে যায়। বর্তমানে পাটাতন বেঁকে দেবে গিয়ে সুচালো দুই মাথা উঁচু হয়ে দুর্ঘটনার ফাঁদে পরিণত হয়েছে। অপর স্থানে বিমের নাট-বল্টু বিনষ্ট হওয়ায় পাটাতন সড়ে নিচে নদীতে পড়ার উপক্রম হয়েছে। কিন্তু বিকল্প পথ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লোকজন ওই ব্রিজের ওপর দিয়েই কিশোরগঞ্জ হতে তারাগঞ্জ চলাচল করছে। ফলে প্রায় সময় মোটরসাইকেল-বাইসাইকেল আরোহী ও পথচারীগণ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। একটু ভারী যানবাহন চলাচলের সময় ব্রিজ থরথর করে কাঁপতে থাকে। এ সময় পথচারীদেরকে ভয়ে কম্পিত হয়ে ব্রিজের র্যালিং চেপে ধরতে হয়। নতুন পথচারীগণ ব্রিজের কম্পনে দুর্ঘটনার অশনিসংকেতে ভয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন।
উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ্ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইলট জানান, ওই ব্রিজে বাহাগিলী ইউপি চেয়ারম্যান দুর্ঘটনার শিকার হয়ে এখনো অসুস্থ রয়েছেন। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত ছোট্র-বড় দুর্ঘটনায় গত এক মাসে অসংখ্য পথচারী আহত হয়েছেন। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হলেও নতুন ব্রিজ নির্মাণের কোন খবর নেই। কিশোরগঞ্জ হতে তারাগঞ্জ ও সৈয়দপুরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার্থে ওই স্থানে দ্রুত নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা দরকার।
নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জরুল করিম জানান, বিষয়টি আমাদের নলেজে আছে। পাটাতন নিয়ে এসে লাগাতে হবে। ওই স্থানে নতুন ব্রিজ নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। ব্রিজ না হওয়া পর্যন্ত মেরামত করেই যোগাযোগ চালু রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।