করোনা টেস্টে ফি নির্ধারণ করায় পাবনার চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী গত ২৮ জুন থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটিতে নমুনা সংগ্রহে ২০০ টাকা আর বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহে ৫০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এ কারণে নমুনা দিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন দরিদ্র মানুষ। স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী,গত ২৭ জুন পর্যন্ত সরকারি খরচে এ দুপি উপজেলায় প্রায় ২ হাজার জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে ভাঙ্গুড়ায় ৬২২ জন। যার মধ্যে চাটমোহরে স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১৩ জন ও ভাঙ্গুড়ায় মেডিকেল অফিসারসহ ১৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফি নির্ধারণের পরে গত বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়ায় মাত্র একজন করে ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছ। শুক্রবার কেন নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। ভাঙ্গুড়ায় ২৭ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ২৫ জনের নমুনা পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে স্বেচ্ছায় ১১ জন,খানমরিচ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আসাদুর রহমানের উদ্যোগে স্বল্পআয়ের ১২ জন এবং দুই জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডাক্তার রুহুল কুদ্দুস ডলার জানান,পরীক্ষার জন্য কীটের কোন সমস্যা নেই। সমস্যা রাজশাহীতে ল্যাবের। উপসর্গ রয়েছে এবং জরুরী রেগি ছাড়া নমুরা নেওয়া হচ্ছে না। তবে ফি নির্ধারণ করার পর নমুনা দেওয়ার আগ্রহ কমে গেছে।
ঋাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হালিমা খানম বলেন,স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২৮ জুন থেকে করোনা টেস্টের ফি নির্ধারণ করে দেওয়ার আগে যে চাপ ছিল এখন তা নেই। তবে যারা ফি দিয়ে নমুনা পরীক্ষা করতে চায় তাদেরটা নেওয়া হচ্ছে।