পাবনার সুজানগরে পদ্মার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনে উপজেলা নাজিরগঞ্জ, সাতবাড়ীয়া ও মানিকহাট ইউনিয়নের বাড়ি-ঘর ও ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে তথা যত্রতত্রভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এই ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বলে এলাকার সচেতন মহলের অভিযোগ।
নাজিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান জানান খান জানান, পদ্মায় পানি বৃদ্ধি এবং প্রচ- ঢেউয়ের কারণে পদ্মায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে তার ইউনিয়নের হাসামপুর, বরখাপুর এবং গোয়ারিয়া এলাকার অর্ধশত বাড়ি-ঘরসহ শত শত একর ফসলী জমি এবং গাছপালা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বরখাপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী বটগাছটিও ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে যেকোন সময় গাছটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। সাতবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান এসএম শামছুল আলম জানান, তার ইউনিয়নের গুপিনপুর, ভাটপাড়া, নারুহাটি, শ্যামনগর এবং সিংহনগর এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনে নদী পাড়ের ১৫/২০টি বাড়ি-ঘর ও শত শত বিঘা ফসলী জমি নদীর বুকে হারিয়ে গেছে। ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে সিংহনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মর্জিনা খাতুন জানান। মানিকহাট ইউপি চেয়ারম্যান এএসএম আমিনুল ইসলাম জানান, তার ইউনিয়নের রাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ডিসি সড়কের কিছু অংশ ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে রাইপুর বাজার জামে মসজিদও। ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করলে ওই বিদ্যালয়, মসজিদ ও সড়ক ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এলাকার সচেতন মহল ভাঙ্গনের জন্য নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনকে দায়ী করছেন। তারা বলেন সুজানগরে সরকারিভাবে কোন বালুমহাল না থাকলেও এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে তথা অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বালু উত্তোলন করছেন। এতে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হওয়ায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির বলেন ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই উদ্যোগের অংশ হিসাবে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। শিগগিরই ভাঙ্গন রোধে নদীপাড়ে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হবে।