নীলফামারীর ডোমারের নদীতে পড়ে নিখোঁজ দুই শিশু গত ২৪ ঘন্টাও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের রংপুর বিভাগীয় ডুবুরী দল শিশু দুইটিকে উদ্ধার করতে না পেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফিরে গেছে। তবে শিশু দুটির পরিবার সহ এলাকাবাসী নদীর বিভিন্ন স্থানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। শনিবার বিকাল পর্যন্ত (৩টা) পর্যন্ত শিশু দু’টিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় নাই।
নিখোঁজ শিশু দুইজন হলো উপজেলার গোমনাতি ইউনিয়নের উত্তর গোমনাতি গ্রামের মো. সুরুজ্জামানের ছেলে মনোয়ার হোসেন (৬) ও একই উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের বিএসসি পাড়া গ্রামের গোলাম রব্বানীর মেয়ে মনি আক্তার (৫)। ওই দুই শিশু খালাতো ভাই-বোন।
স্থানীয়রা জানায়, বার্ধক্য জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গোমনাতি ইউনিয়নের উত্তর গোমনাতি গ্রামের কমির উদ্দীনের মৃত্যু হলে তার জানাযায় পরিবারসহ অংশ নিতে আসেন তার ছেলের শ্বশুর জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মিরজাগঞ্জ বিএসসি পাড়া গ্রামের ময়নুল ইসলাম। সেখানে তার দাফন-কাফন শেষে স্ত্রী, তিন নাতি-নাতনীসহ ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক যোগে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন ময়নুল। এ সময় আমবাড়ি হাটের অদুরে পাঙ্গা নদী পারাপারের ঝুঁকিপূর্ণ বেইলী ব্রীজের পাটাতনে ফাকে ইজিবাইকের চাকা ঢুকে যায়। এতে ইজিবাইকটি উল্টে গেলে ময়নুলের স্ত্রী রওশন আরা (৫৫), তার তিন নাতি-নাতনি লিপু (১০), মনি ও মনোয়ার নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা তাৎক্ষনিক রওশন আরা ও লিপুকে উদ্ধার করলেও অপর দুই শিশু মনি ও মনোয়ার নদীতে নিখোঁজ হয়।
গোমনাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ বলেন, স্থানীয় লোকজন ও ডোমার দমকল বাহিনীর কর্মীদের সহায়তায় রংপুরের একটি ডুবুরী দল শিশু দুটিকে উদ্ধারে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।
ডোমার দমকল বাহিনীর দলনেতা ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা রংপুর থেকে দমকলবাহিনীর ডুবুরী দল এনে নিখোঁজ দুই শিশুকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। নদীতে প্রচন্ড স্রোতের কারণে ডুবুরী দল উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি।
ডোমার থানার ওসি মোস্তফিজার রহমান বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশ বাহিনীর লোকজন এলাকায় রয়েছে। শনিবার বিকাল পর্যন্ত শিশু দুইটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।