কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুের অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে গভীর রাতে বর্ন্যার পানিতে দেবে গেল এক বৃদ্ধার বসত ভিটা। শুক্রবার ৩ জুন দিবাগত গভীর রাতে চর রাজিবপুর মাঠপাড়া গ্রামের বিধবা মনোয়ারা বেগমের বাড়িসহ ৪টি ঘর সম্পুর্ণ পানিতে দেবে যায়। সরেজমিনে মনোয়ারা বেগম জানান, ছেলে পুত্রবধু নাতি-নাতনিসহ ১১ সদস্যের যৌথ পরিবার এই ভিটায় বসবাস করতেন। একমাত্র ৯ শতক ভিটেমাটি তাদের সম্বল। তারা অন্যের বাড়িতে কাজকর্ম করে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করে থাকে। কিন্তু ওই অঞ্চলের প্রভাবশালী নুরুল আমীন নুরু আমার ভিটে লাগোয়া অবৈধভাবে জোড় পুর্বক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন বানিজ্য শুরু করে। ড্রেজার মেশিন বন্ধের জন্য রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও আমলে নেয়নি ওই প্রভাবশালী। এদিকে কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাঢ়ি ঢলের ফলে বর্ন্যার পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। যেহেতু ড্রেজারে বালু উত্তোলনের ফলে গভীর খাদের সৃষ্টি হয়। বানের পানি প্রবেশের ফলে বসত ভিটের নিচ থেকে মাটি সরে যেতে থাকে। যার ফলে নিচে ফাকা হওয়ায় বসত ভিটেটি দেবে যায়। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় ১১ সদস্যের পরিবারটি। এ ব্যাপারে রাজিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ওই পরিবারকে সকল প্রকার সরকারী সহায়তা প্রদান করা হবে। রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোঃ নবীরুল ইসলাম বলেন, বাড়িটি দেবে যাওয়ার খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখেছ্ িক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারকে সকল প্রকার সরকারী সহায়তা প্রদানের করা হবে। যার মাধ্যমে ক্ষতি সাধিত হয়েছে দ্রুত তাকে ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।