নেত্রকোনার দুর্গাপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে সরকারি হাসপাতালে দুইদিন চিকিৎসার পরদিন বাড়িতে ফিরে ১জুলাই বুধবার রাত ৩টার দিকে এক গৃহবধূ মৃত্যুবরণ করেছেন।
সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্দেহমূলকভাবে ঐ মহিলার করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৩ জুলাই শুক্রবার রাতে মৃত্যু হওয়া গৃহবধূর নমুনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। মৃত্যু হওয়া গৃহবধূ চন্ডিগর ইউনিয়নের পাথারিয়া গ্রামের আবদুল মজিদের স্ত্রী রহিমা খাতুন(৩৭)। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ঐ রোগীর দায়িত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হান। মৃত্যের পরিবার সূত্রে জানা যায়, চন্ডিগর ইউনিয়নের পাথারিয়া গ্রামের রহিমা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে ব্রংকাইটিস রোগে ভুগতেছিল। হঠাৎ করে শরীরে প্রচন্ড জ¦র ও সর্দি-কাশি দেখা দেয়। পরে গত রোববার উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুইদিন ভর্তি থাকার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দিয়ে মঙলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রিলিজ দিলে নিজবাড়ীতে ফিরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে মারা যান। পরিবারের কেউ জানতোনা সে করোনায় সংক্রমিত ছিল। পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। সরকারী হাসপাতালের মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ তানজিরুল ইসলাম রায়হান জানান,গত ২৭ জুন রহিমা খাতুনের নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ ল্যাবে পাঠানো হলে ৩ জুলাই তার করোনা পজেটিভ আসে। ভর্তি অবস্থায় তাকে সেবাদানকারী ডাক্তার ও নার্সগন এখন শঙ্কায় ভুগছেন বলেও জানান তিনি।