বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেওয়া মরণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণে ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার প্রতিটি স্তরে চষে বেড়াচ্ছেন করোনাযুদ্ধের আত্মপ্রত্যয়ী এক যোদ্ধা ইউএনও মো: মারুফুল আলম।
কাজের ধারাবাহিকতায় প্রতিনিয়ত সকালে থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার প্রধান প্রধান হাটবাজার ও শপিংমলগুলোতে মাইকিং করে করোনা সংক্রমণে জনসচেতনতা করে চলেছেন তিনি।
জানা যায়, ৮ মার্চ বাংলাদেশে শুরু হওয়া কভিড-১৯ ভাইরাসের চিতলমারী উপজেলায় অবিরাম ছুটে চলেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মারুফুল আলম। করোনার শুরুতেই লকডাউনে সাধারণ জনগণকে ঘরে রাখা, ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা, কোয়ারেন্টিন ও লকডাউন অমান্যকারীদের ঘরে ফেরানোর কাজ করেন। দেশের এমন পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে থেকে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন তিনি।
নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত কিংবা অসহায় মানুষের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ এসব মানুষদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার কাজ করছেন ইউএনও। ত্রাণ নিয়ে ছুটে চলেছেন মানুষের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন জায়গাতে। তবে তার সাথে ও সহযোগিতায় বিশেষ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রথম কাতারের নেতা কর্মীদের উৎসহটাও ছিল লক্ষণীয় ও সন্তোষজনক। স্থানীয় সাংসদ শেখ হেলাল উদ্দীন (এমপি) মহোদয়ের প্রেরিত ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে সাধারন ভুক্তভোগি মানুষের দ্বারেদ্বারে পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি; সকল প্রকার সেবাদানে এই দলটির নেতাকর্মীরাও কাজ করে চলেছেন অবিরম।
ইউএনও মারুফুল আলম বলেন, এটা একটি যুদ্ধ। আত্মপ্রত্যয় আর চ্যালেঞ্জ নিয়ে সকলকে এ যুদ্ধের মোকাবেলা করতে হবে। সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। নিজে বাঁচতে হবে এবং পরিবার পরিজনকে করোনা থেকে বাঁচাতে হবে। এ যুদ্ধে করোনার পরাজয় হবে। বেঁচে থাকবে মানবতা।