করোনা ভাইরাসের মহামারীর মধ্যে আগের সব অর্জনকে হার মানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রেমিট্যান্স। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৬ বিলিয়ন (৩ হাজার ৬০০ কোটি ) মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। দেশের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ রিজার্ভ। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রেও রেকর্ড হয়েছে। জুন মাসে ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৫ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা। একক মাসে যা আগে কখনো আসেনি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দিন শেষে প্রথমবারের মত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৬ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, দিন শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৬ বিলিয়নে। গত ২৪ জুন ৩৫ বিলিয়ন এবং তার আগে ৩ জুন ৩৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায় রিজার্ভ। এর আগে গত ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সবচেয়ে বেশি রিজার্ভ ছিল। সেদিন রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৩ হাজার ৩৬৩ কোটি ডলার। এরপর রিজার্ভ কমতে থাকে। এদিকে একক মাস হিসাবে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে গতমাস জুনে। এ মাসে ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর আগে গত বছরের জুনে ১৭৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার এসেছিল। সে সময়ে ঈদ ছিল। মূলত, রেমিট্যান্স বাড়ার কারণেই রিজার্ভ বেড়েছে। এ ছাড়া করোনা ভাইরাসের কারণে আমদানি কমে যাওয়া, বৈদেশিক সহায়তা ও ঋণ প্রাপ্তি এবং ব্যাংকগুলো থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার কেনার কারণও রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। বাংলাদেশের কাছে এখন যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ আছে তা দিয়ে ৮ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।