কক্সবাজারের মহেশখালী পৌসভার মেয়র মকছুদ মিয়ার বিরুদ্ধে সৎ ভাইয়ের সন্তানদের সম্পত্তির ভাগ চাওয়ায় মারধরের অভিযোগ করেছে। এ ঘটনায় মহেশখালীতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ০৬ জুলাই সোমবার দুপুর অনুমান ১২ টার সময়।
মহেশখালী পৌর মেয়র মকছুদ মিয়ার পিতা হাশেম সিকদারের ৩ স্ত্রীর ৭ মেয়ে ও ৯ ছেলে সন্তান রয়েছে। ২য় স্ত্রীর পুত্র মরহুম আমান উল্লাহ সিকদারের স্ত্রী দিলারা বেগম ও বড় সন্তান ফরহাদ সিকদার জানায়, তার দাদা হাশেম সিকদার বিগত ৩৬ বছর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি বৃহত্তর গোরকঘাটার চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি মৃত্যুবরণের পর থেকে দীর্ঘ সময়কাল মেয়র মকছুদ মিয়া, আবু বক্কর ছিদ্দিক চেয়ারম্যান ও আতা উল্লাহ বোখারীদের নিয়ন্ত্রনে থাকে। অদ্য সময় পর্যন্ত মরহুম হাশেম সিকদারের স্থাবর-অস্থাবর কোন সম্পদের ভাগ-ভাটোয়ারা দেয়নি। ফরহাদ সিকদার জানায় তার বাবা আমান উল্লাহ সিকদার মারা যাওয়ার পর বিগত ২ বছর পূর্ব থেকে তাদের একটি বাড়ী তৈরি করার জন্য মেয়র, আবু বক্কর চেয়ারম্যান এর নিকট একাদিকবার আবেদন করে। সে আরো জানায় মহেশখালী কুতুবদিয়ার বর্তমান সংসদ সদস্যকেও অবহিত করে।
অবশেষে ঘটনার দিন ০৬ জুলাই সোমবার দুপুর ১২ টায় হাশেম সিকদারের বাড়ীর ৬ কানি জমির ১টি অংশে আমান উল্লাহ’র পুত্র সন্তানেরা জায়গা পরিস্কার করে। এমতাবস্থায় মেয়র মকছুদ মিয়া, আবু বক্কর চেয়ারম্যান, আতা উল্লাহ বোখারী, মামুন ও মেয়র মকছুদের স্ত্রী সহ প্রায় ব্যাপক লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলা থেকে রক্ষা করতে আমান উল্লা’র কনিষ্ঠ কন্যা অন্তস্বত্তা ফারজানা ইয়াছমিন এগিয়ে আসলে তাকে ব্যাপক মারধর করে। স্ত্রী দিলারা বেগম ও ফরহাদ সিকদারকে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন। জীবন রক্ষার্থে দ্রুত অন্তসত্তা বোনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে হাশেম সিকদারের অপর পুত্র সলিম উল্লাহ সিকদারের সন্তান (ফরহাদের চাচত ভাই শাহিন আরফাতকে ফোনে এগিয়ে আসার জন্য জানার পর পর শাহিন আরফাত বড় রাখাইন পাড়ার বাসা থেকে সিএনজি করে মেয়রের বাড়ীর দিকে যাওয়ার পথে থাকেও গণপিটুনি দেয় বলে দাবী করেন শাহিন আরাফাত। এদিকে ফারজানা ইয়াছমিনকে মহেশখালী হাসপাতাল থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
ঘটনার বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামিরুল ইসলাম জানায় বিষয়টি কেহও অভিযোগ করেনি। শুনেছি পারিবারিক বিষয়ে ঘটনা।