নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়ন। আর এ ইউনিয়নের এক সভ্রান্ত পরিবারে জন্ম মাসুদ রানা পাইলট নামে এক তরুন যুবলীগ নেতার। নিজ ইউনিয়নে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে খাদ্য সংকটে পড়া কর্মহীন অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, জীবাণুনাশক ওষুধ, হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বিতরণ করেছেন। এখন পর্যন্ত তিনি ওই সকল সামগ্রী অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ ৮ বছর থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। এর পূর্বে তিনি দায়িত্বে ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের অন্যতম সদস্য। বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছেন।। তিনি ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি জনপ্রিয় জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোখলেছুর রহমানের তৃতীয় সন্তান।
বাবার আদর্শে তিনি নিরলসভাবে মানবতার কল্যাণেকাজ করে যাচ্ছেন। শ্রমিক মেহনতী মানুষের প্রিয় নেতা মাসুদ রানা করোনা ভাইরাস কেন্দ্রিক দূর্যোগে বিপদাপন্ন মানুষের পাশে এগিয়ে এসেছেন। বাড়িয়ে দিয়েছেন সহযোগিতার হাত। জয় করে নিয়েছেন আপামর মানুষের মন। তাইতো তিনি এখন মানবিক হৃদয়ের মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। খাতামধুপুর ইউনিয়নের মানুষের এমন দূর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি এলাকার দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করছেন. যেখানেই ডাক পড়ছে ছুটে যাচ্ছেন মানবতার কল্যাণেকি রাত কি দিন।
তিনি একাধারে সমাজসেবী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সফল ব্যবসায়ি এবং সাংস্কৃতি মনা। আসলে তিনি একজন মহৎ প্রাণ মানুষ। মানুষটির সাথে যাঁরা কাছ থেকে মিশেছেন তাঁরাই শুধু জানেন প্রতিটি মুহূর্ত কিভাবে মানুষের জন্য, ইউনিয়নের জন্য, ক্রীড়াঙ্গন বা সংস্কৃতি অঙ্গনের জন্য পরিকল্পনা বা তাঁর অবদানের কথা।
সৈয়দপুর ও খাতামধুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের দুই বার নির্বাচিত জনপ্রিয় ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন সরকারের ছোট ভাই। বংশগত দিক দিয়ে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান।
এলাকার মানুষ সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলার অহংকার।তিনি একজন সফল রাষ্ট্র নায়ক। যিনি স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান এবং তা বাস্তবায়ন করেন। তিনি সত্যিই বিশে^ এক বিরল রাজনীতিবিদ। আমি তারই আদর্শের সৈনিক। তাইতো মানুষের সাথে আমার সুখ দুখের সম্পর্ক। যতদিন বেঁচে থাকবো ততোদিন মানুষের সেবা করে যাবো। কান্না বিজরিত কন্ঠে তিনি বলেন আমার বাবা ছিলেন ইউনিয়নের জনপ্রিয় জননেতা। দীর্ঘ ৩০ বছর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন্। তাঁর জনপ্রিয়তার কাছে অন্যান্য প্রতিযোগিরা টিকতে পারতেন না। তাই ঘাতকরা আমার বাবাকে সৈয়দপুর শহর থেকে বাড়ি ফেরার সময় গলা কেটে হত্যা করে আমাদেরকে এতিম করেছে। মামলা করার পরও আজও আমরা ন্যায় বিচার পাইনি।