কুড়িগ্রাম সদরের ত্রিমোহনী এলাকায় (হেনাইজের তল) মঙ্গলবার সকালে কাভার্ট ভ্যান ও ব্যাটারী চালিত অকোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে শাহ আলম(৪০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৪জন। আহতদের সবাইকে মুমূর্ষ অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন আয়শা বেগম (৫০), পুত্র আতিকুর রহমান বুলেট (৩০), পুত্রবধূ নাসিমা রহমান লিলি (২৭) এবং নাতনী দুপুর (৪)। সবাই একই পরিবারের সদস্য।
কুড়িগ্রাম সদর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মাহফুজার রহমান জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কাঠাঁলবাড়ী থেকে কুড়িগ্রাম শহরমুখি একটি ব্যাটারী চালিত অকোরিক্সাকে রংপুরগামী পত্রিকাবাহী একটি কাভার্ট ভ্যান মুখোমুখি ধাক্কা দিলে এ ঘটনা ঘটে। অকোরিক্সাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। চালকসহ একই পরিবারের ৪জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধিন অবস্থায় ব্যাটারী চালিত অকোরিক্সা চালক শাহ আলমের মৃত্যু হয়।
সে কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের তালুক কালোয়া গ্রামের ঘোপাটারী এলাকার নুরুল ইসলাম সরকারের পুত্র। আহতরা হলেন একই গ্রামের মাহফুজার রহমানের স্ত্রী আয়শা বেগম (৫০), পুত্র আতিকুর রহমান বুলেট (৩০), পুত্রবধূ নাসিমা রহমান লিলি (২৭) এবং নাতনী দুপুর (৪)। তারা সবাই সকালে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা যাবার উদ্দেশ্যে কুড়িগ্রাম আসচ্ছিল। পথিমধ্যে কুড়িগ্রাম-রংপুর সড়কের ত্রিমোহনী এলাকায় (হেনাইজের তল) এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের আশংকাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা রেদওয়ান ফেরদৌস সজিব জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৫জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসাধিন অবস্থায় সকাল ৮টার দিকে শাহ আলমের মৃত্যু হয়। একজন শিশু, ২জন নারীসহ ৪জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে নাসিমা রহমান লিলি (২৭) ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালের নার্স এবং তার স্বামী ঢাকায় একটি বে-সরকারি কোম্পানিতে চাকুরি করেন। তাদের একমাত্র কন্যাসন্তান দুপুর।