করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে নীলফামারীতে কোরবানির পশুর হাটে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে কাজ করছে সেনাবাহিনী। স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে বাড়তি সতর্কতা ও সামাজিক দুরত্ব মেনে বেচাকেনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে ৭ জুলাই ঢেলাপীর কোরবানীর হাটে রংপুর বিভাগের ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের অন্তর্গত আর্টিলারি ব্রিগেডের আওতাধীন ১৯ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারির তত্ত্বাবধায়নে কোরবানির পশুর হাটে এ বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়।। সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কোরবানির পশুর হাট পরিচালনা করতে সেনাবাহিনীর পক্ষে ক্রেতা ও বিক্রেতাকে উদ্ভুত করা হচ্ছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লে. কর্নেল আরিফ হোসেন, মেজর এরফান করিম, লেফটেন্যাট তানজিম আহমেদ সাকিল প্রমুখ।
সূত্র মতে, ঢেলাপীর পশুর হাটের চারদিকে স্বেচ্ছাসেবক, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ হাটটি ওয়ানওয়ে বাজার হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে। ফলে প্রতিটি ক্রেতা ও বিক্রেতাকে একটি পথ দিয়ে প্রবেশ ও অন্য পথ দিয়ে বের হয়ে যাবে। কোন ক্রেতা যদি আবার প্রশে করতে চায় তাহলে তাকে পূনরায় প্রবেশ পথ দিয়ে হাটে আসতে হবে। এ ছাড়া কোন ব্যক্তি বা ক্রেতা যদি হাটে আসতে না চায় তাহলে তারা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোরবানির পশু ক্রয় করতে পারবে।
যেহেতু ঢেলাপীর হাটটি বড় এবং প্রতি বছর এ হাটে লোক সমাগম বেশি হয় তাই সেনাবাহিনীর পক্ষে এই প্রথম অনলাইনের মাধ্যমে কোরবানির পশু ক্রয় ও বিক্রয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ছিল জেলার সর্ববৃহৎ ঢেলাপীরে কোরবানীর পশুহাট। সকাল হতেই সেনাবাহিনীর পক্ষে মুখে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ,ভিড় কিভাবে সামলানো হবে, ক্রেতা বিক্রেতা, ইজারাদারদের কর্মী মিলে কতজনকে একসাথে হাটে ঢুকতে দেয়া হবে, ঢোকা ও বের হওয়ার আলাদা পথ ,তাপমাত্রা পরিমাপসহ বাড়তি সর্তকতা নিয়ে কাজ করতে দেখা যায়।
তবে কোরবানির সময় বেশি থাকায় হাটে তেমন একটা ক্রেতা বিক্রেতার ভির নেই।