পঞ্চগড় শহরের রাজনগর পৌর খালপাড়া এলাকায় এক নারীর শ্লীলতাহানির অপরাধে এক বখাটেকে গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী। পরে স্থানীয় কাউন্সিলর ও এলাকাবাসী মিলে গ্রাম্য সালিশে অপরাধীকে বিয়ে না করা পর্যন্ত গ্রামে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। শ্লীলতাহানির অপরাধে অপরাধী মো: হারুন রাজনগর এলাকার মৃত. আবদুল কাদেরের ছেলে। হারুন পঞ্চগড় সড়ক ও জনপথ বিভাগে (অস্থায়ী) কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত আছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ফাঁকা পেয়ে পাশের বাড়িতে গোসলরত অবস্থায় এক নারীর শরীরে হাত দেয় হারুন। এ সময় ঐ নারীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন দৌড়ে এসে হারুনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। ঘটনার বিবরণ শুনে স্থানীয় যুবকরা হারুনকে ধণধোলাই দেয়। পরে এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় কাউন্সিলর গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করে।
গত রোববার গ্রাম্য সালিশে অপরাধ প্রমানিত হলে প্রায় কয়েক শতাধিক গ্রামবাসীর সামনে তাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত এলাকায় প্রবেশে বাঁধা প্রদান করেন কাউন্সিলর। পাশাপাশি শ্লীলতাহানির শিকার নারী ও তার স্বামীর নিকট প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে হারুন।
স্থনীয়রা জানায়, হারুনের বিরুদ্ধে নারী, মাদক সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন পূর্বে হারুন ইয়াবাসহ পঞ্চগড় ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়। এর আগে সে তার স্ত্রীকে বিনা দোষে তালাক দেয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হারুন মুঠোফোনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমি চক্রান্তের শিকার। তারপরও আমি গ্রাম্য সালিশে ঐ নারীর পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। বিষয়টা গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে শেষ করে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সড়ক ও জনপথ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হারুন মাস্টাররোলে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত আছে। এমন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকা- ইতিপূর্বেও আমাদের কানে এসেছে।