নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মিলন (৩৪) নামে এক সিএনজি চালককে মাদক মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টায় ব্যার্থ অভিযুক্ত এসআই রূপন নিজেই ফেঁসে গেলেন। সোমবার সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ থানা থেকে নোয়াখালী পুলিশ লাইনে তাকে ক্লোজড করা হয়েছে। এর আগে দুপুরে গণমাধ্যাম কর্মীদের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত রূপন নাথ বেআইনী ভাবে আটক করা সিএনজি অটো রিক্সা (নোয়াখালী-থ-১১-৯৩০৮) ও ঘুষ নেয়া ৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন চালক মিলন ও তার মালিক পিন্টু ভৌমিককে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ সূত্রে এসআই রূপন নাথের ক্লোজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
উল্লেখ্য ৫ জুলাই রোববার ভুক্তভোগী সিএনজি অটো রিক্সা চালক মিলন (৩৪) ও গাড়ির মালিক সহ নোয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। একই দিন রাত ১০টায় এসআই রূপন নাথের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের তদন্তে আসেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আবদুর রহিম। তদন্তের সময় অভিযোগকারী সিএনজি চালক মিলন তার গাড়ীর মালিক পিন্টু ভৌমিক এবং মিলনের বাবা গ্রাম পুলিশ ছায়েদল হকের জবানবন্ধি রেকর্ড করা হয়। তদন্ত সম্পন্ন হলে তদন্তকারী ওই পুলিশ কর্মকর্তা রাতেই তাকে ক্লোজ করে নোয়াখালী পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়। সোমবার দুপুর শেষে বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আরিফুর রহমানের নির্দেশে অভিযুক্ত এসআই রূপন নাথ সিএনজি চালক মিলন ও গাড়ীর মালিক পিন্টু ভৌমিকের কাছে আটক সিএনজি ও ঘুষের নেয়া ৫ হাজার টাকা ফেরত দেন। আটককৃত এ গাড়ী ও টাকা লেনদেনের সময় বিষয়টি ভিডিও করে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীরা। যা তাৎক্ষনিক ভাবে ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আরিফুর রহমান জানান, সোমবার বিকেলে সিএনজি অটোরিক্সাটি মালিককে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত এসআই রূপন নাথের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের আরো একাধিক তদন্ত চলছে। এ ছাড়া কোম্পানীগঞ্জ থানায় কোন কর্মকর্তা অপকর্মের সাথে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত; এসআই রূপন নাথের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জে মাদক ব্যবসা প্রসার, অবৈধ মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটসহ নানা অপকর্মের সাথে তার জড়িত থাকার বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে।