পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ঠিকাদারের উদাসীনতার কারণে বাজার উন্নয়নে সিসিআরপি প্রকল্পের কাজ পাঁচ বছরেও শেষ করতে পারেনি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের ইন্দুরকানী বাজারে উন্নয়নের জন্য টলসেট, ড্রেন, রাস্তা, ওপেন সেট, মাল্টিপারপাস সেট সহ, পানি নিস্কাসনে ব্যবস্থার জন্য ৬৫ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। সরেজমিন গেলে দেখা যায় ২টি টলসেট আংশিক কাজ করা হয়েছে। কিন্তু বাকি কাজগুলো এখনও করার কোন উদ্যোগ নাই। যার ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারন জনগন। এ ব্যাপারে ইন্দুরকানী বাজার কমিটি বিভিন্ন সময় অভিযোগ করলেও কোন সমাধান হয় নাই। ইন্দুরকানী উপজেলার প্রান কেন্দ্র ইন্দুরকানী বাজার। বাজারটিতে কয়েক শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্কুল, ব্যাংক, বীমা, এনজিওসহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি বেসরকারি স্থাপনা সব এই বাজারকে ঘিরেই। তাই প্রতিনিয়ত কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এখানে। বর্ষা মৌসুমে বাজারের প্রতিটি রাস্তা কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে পড়ে। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ দিন ধরে ড্রেন নির্মানের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় ইন্দুরকানী বাজারে। কারণ পানি নেমে যাওয়ার কোন পথ নেই। আবার বাজারের গা ঘেঁষে রয়েছে ইন্দুরকানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইন্দুরকানী মেহেউদ্দিন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বাজারের সব ময়লা আবর্জনা ধোয়া পানি জমে এই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে। ফলে মাঠটিও ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। খেলাধুলার কোন পরিবেশ নেই এই মাঠে। মাঠ দিয়েও পানি নামার কোন পথ নাই। তাই স্কুল দুটিতে সৃষ্টি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
বাজার কমিটির সভাপতি জহিরুল ইসলাম ওহাব জানান, বাজারে টোল ঘর, মাছ-মাংস-তরকারি নির্দিষ্ট ঘরসহ একটি সৌচাগার নির্মানের জন্য প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হলেও বছরে পর বছর অনিয়ম কারণে কাজ সম্পন্ন হচ্ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী রবিন্দ্রনাথ দাস জানান, সিসিআরআইপি এর আওতায় কাজটি করছেন বাবু সঞ্জিব সাহা। তিনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সুভাষ এন্টারপ্রাইজের নামে কাজ করেন।বার বার মৌখিক ও চিঠি দিয়ে জানানো হযেছে।তবে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার জানান চলতি মাসের মধ্যে আমরা অসম্পূর্ন কাজ শেষ করবো।
ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এম মতিউর রহমান জানান, ইন্দুরকানী বাজারটি অত্যন্ত জনগুরুত্ব পূর্ন। বাজারের সড়ক গুলো সংস্কার ও ড্রেনের অভাবে বাজারে ক্রেতা বিক্রেতা ও জনসাধারন চরম দূর্ভোগে রয়েছে। বাজারের কিছু অংশে ড্রেন নির্মানের বরাদ্দ হলেও। এখন পযন্ত ঠিকাদার কাজ করে না।