জামালপুরের দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক সংবাদদাতা অসুস্থ প্রবীন সাংবাদিক একেএম মোশাররফ হোসেন ও তার মেয়ে মিতুকে বাঁচাতে এগিয়ে আসার আকুতি জানিয়েছেন। বর্তমানে তাদের বিনা চিকিৎসা অনাহারে অর্ধহারে দিন কাটছে। দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক সংবাদদাতা প্রবীন সাংবাদিক একেএম মোশাররফ হুসেন তিনি ২০০৭ সাল পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় ৩৪ বছর জামালপুরে সাংবাদিকতায় কাজ করছেন। বর্তমানে তার হার্টের তিনটি স্থানে ব্লক ও নিউরো উচ্চ রক্তচাপ। শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক বছর ধরে শয্যাশায়ী অপর দিকে তার মেঝ মেয়ে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় ভোগছেন। অর্থের অভাবে তারা চিকিৎসা নিতে পারছে না। বর্তমানে বাবা-মেয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। তাই তিনি সমাজের বৃত্তবানদের কাছে মানবিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
অসুস্থ্য সাংবাদিক মোশাররফ হুসেনের মেঝ মেয়ে মিতুর দুইটি কিডনি দিন দিন বিকল হয়ে যাচ্ছে। তার সাপ্তাহে দুইদিন ডায়ালোসিস করতে হয়। বড় ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা ফেরদৌস হোসেন লিটন থেকেও নেই। বাবার খোঁজ খবর নেয় না। বর্তমানে তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বড় মেয়ে আফরোজা বেগম নিভা। তিনি জামালপুর পৌরসভায় মাষ্টাররোলে ৫ হাজার টাকা বেতনে চাকুরী করেন। একদিকে বাবার চিকিৎসা অন্যদিকে ছোট বোনের কিডনি ডাইয়ালোসিসের মতো ব্যায় বহুল চিকিৎসায় বাঁচিয়ে রাখতে দিশেহার হয়ে পড়েছেন আফরোজা বেগম নিভা। তিন বলেন, টাকার অভাবে আমার বাবা ও ছোট বোনকে চিকিৎসা করাতে পারছিনা। চিকিৎসার টাকাতো দুরের কথা ঠিকমত খাবারের যোগান দিতে পারছিনা। আমার বাবা সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন ও বোন মিতুকে বাঁচাতে সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে মানবিক আবেদন করেছেন তিনি।
জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা বলেন, প্রবীন সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন ও তার মেয়ে মিতুকে বাঁচাতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। সমাজের দানশীল মানবিক মানুষরা এগিয়ে আসুন। বাঁচান সাংবাদিক মোশাররফ হুসেন ও তার মেয়ের জীবন।