নোয়াখালীতে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর (১৫) গর্ভে থাকা ২৯ সপ্তাহের শিশু হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নারী হোমিও চিকিৎসক ও এক ইউপি সদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১১ নম্বর দূর্গাপুর ইউনিয়নের দিনমজুর বাবার মেয়েকে (১৫) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে একই এলাকার মো. আকাব্বর বেপারীর ছেলে কায়সার হামিদ (২২)। একপর্যায়ে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এরপর অভিযুক্ত কায়সার কৌশলে তার আরেক সহযোগী কমল সিংহের মাধ্যমে ওই কিশোরীকে চৌমুহনীর নারী হোমিও চিকিৎসক জেসমিন আক্তারের বাসায় নিয়ে যান।
সেখানে নিয়ে ওষুধ প্রয়োগ করে গর্ভের শিশুটিকে মেরে ফেলে এবং শিশুটিকে গর্ভপাত ঘটানো হয়। পরবর্তীতে ঘটনাটি এলাকায় গ্রাম্যসালিসে মিমাংসার চেষ্টা করেন মো. ফারুকসহ কয়েকজন। মিমাংসা না হওয়ায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নারী হোমিও চিকিৎসক ও দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন হোমিও চিকিৎসক জেসমিন আক্তার, কায়সারের সহযোগী কমল সিংহ, সালিসদার ইউপি সদস্য মুকবুল আহম্মদ ও মো. ফারুক।
জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ওসি হারুন-উর-রশিদ চৌধুরী। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আজ (শুক্রবার) আদালতে প্রেরণ করা হবে। একই সঙ্গে ওই ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় জড়িত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।