লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের ভাটিয়ালপুর গ্রামের বেপারী বাড়িতে প্রকাশ্যে পাশবিক নির্যাতনের ১৮দিন পরেও মামলা করতে পারেনি নির্যাতনে শিকার গৃহবধু শাহীন আক্তার। স্থানীয় বখাটে নাইম হোসেন ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের নানা হুমকি-ধমকিতে গৃহবধুর পরিবার পরিজন নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। শুক্রবার (১০জুলাই) দুপুরে গৃহবধু শাহিন এবং তার মা রৌশন আক্তার সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে। গৃহবধু শাহীন যাতে স্থানীয় মোহাম্মদীয়া বাজার পুলিশ পাড়িতে না যেতে পারে সেজন্য বখাটে নাইম বাড়ির সামনে পাহারা বসিয়েছে। সন্ত্রাসী নাইম উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের ভাটিয়ালপুর বেপারী বাড়ির আঃ রহিমের ছেলে।
সুত্রে জানায়,উপজেলার করপাড়া ইউপির সাবেক মহিলা মেম্বার রৌশণ আক্তারের লক্ষ্মীপুর আদালতে জি.আর ১৮২/১৯ মামলা বিচারাধীন। ওই মামলা প্রত্যাহার করতে বখাটে নাইম হোসেনসহ অন্যান্য আসামি ও তাদের স্বজনরা গৃহবধু শাহীন ও তার মাকে নানা ভয়ভীতি অব্যাহত রেখেছে। একপর্যায়ে গৃহবধু শাহিন আক্তার হুমকী-ধমকীর প্রতিবাদ করে মামলা তুলবেনা বলে জানিয়ে দেয়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে ২৩ জুন বিকেলে সন্ত্রাসী মোঃ নাইম হোসেন তার সাংঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে অর্তকিতভাবে গৃহবধু শাহিন আক্তারকে জনসম্মুখে বেদম মারধর করে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে নাইম ও তার লোকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় এবং বাড়ির লোকজন গৃহবধু শাহীনকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি দেখে স্বজনেরা তাকে প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করে। গৃহবধু শাহিন আক্তার বলেন,আসামীরা মামলা প্রত্যাহার করতে দিন-রাত আমার মাকে হুমকি-ধমকি দেয়। জীবন রক্ষার্থে মা আমার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ২৩ জুন নাইম উত্তেজিত হয়ে তার লোকজন নিয়ে সবার সামনে আমাকে এলোপাতাড়ি পিটানো শুরু করে। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিয়ে লুটে পড়লে মৃত ভেবে চলে গেলে লোকজনে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। শাহীন আক্তারের মা মামলার বাদি রৌশন আক্তার বলেন,নাইম এলাকার মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। তার ভয়ে এলাকায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না।
মোহাম্মদিয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এমদাদুল হক এমদাদ বলেন,বিষয়টি আমি জানিনা। এ নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে কেউ কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।