বগুড়ার কাহালু উপজেলায় ২০১৯-২০২০অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) প্রকল্পের কাজ না করা ও সংশোধনী দেওয়ায় ফেরত গিয়েছে এসব প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত ১৫ মেট্রিক টন গম।
এ বিষয়ে ত্রান অফিসে খোঁজ খবর নিতে গেলে পিয়ন ছাড়া দেখা মিলেনি কারো। অথচ এই অফিসে রয়েছে ৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। জুন ক্লোজিং এর পর থেকে অফিসে দেখা যায়নি তাদের কারও।
সংশ্লিষ্ট সুত্রমতে টি আর ও কাবিখা প্রকল্প বাস্তবায়নের শেষ সময় আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় কয়েকদিন বাঁকী থাকলেও ত্রান অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঠিকমত অফিস না করায় প্রকল্প গুলো সঠিকভাবে বাস্তায়ন হবে কি-না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে সাধারন মানুষের মনে।
ত্রান অফিসের তথ্যমতে, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে উপজেলা পরিষদে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনা-বেক্ষন (টি আর) কর্মসূচীর আওতায় ১৫টি প্রকল্পের বিপরীতে ১১ লাখ ৯৭ হাজার ২০৫ টাকা ও (কাবিখা) ১০ টি প্রকল্পের বিপরীতে ৫০.৫৪২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
অপরদিকে স্থানীয় এমপি’র প্রথম পর্যায়ে (টি আর) ৫০ টি প্রকল্পের ২৪ লাখ ৬৭ হাজার ৬৬৬ টাকা ও (কাবিখা) ১০ টি প্রকল্পের ৮০ মেঃ টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এমপি’র দ্বিতীয় পর্যায়ে (টি আর) ৪৬ টি প্রকল্পের জন্য ২৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও (কাবিখা) ৮টি প্রকল্পের জন্য ৮৮ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সুত্রমতে, বীরকেদার ইউনিয়নের বীরকেদার ফকিরপাড়া শহিদুলের বাড়ি হতে সাত্তারের বাড়ি পর্যন্ত মাটি ভরাট ও ইট সলিং কাজ ঠিকমত হয়নি। যার ফলে এই প্রকল্পের ৬ মেঃ টন গম ফেরত গেছে। অপরদিকে জামগ্রাম ইউনিয়নের সর্দারপাড়া পাকা রাস্তা হতে পশ্চিমদিকে ইট সলিং রাস্তা পুনঃ সংস্কার প্রকল্পের সংশোধনী দেওয়ায় সেটা অনুমোদন না পাওয়ায় প্রকল্পটির ৯ মেঃ টন গম ফেরত গেছে। ফলে ফেরত গেছে এ দুটি প্রকল্পের মোট ১৫ মেট্রিকটন গম।
কাহালু উপজেলা ত্রান অফিসের পিয়ন বিপ্লব হোসেন জানান, স্যার দুঁপচাচিয়া ও কাহালু এই দুই অফিসের দায়িত্বে থাকায় মাঝে-মধ্যে অফিসে আসেন। অন্য তিনজন কর্মচারীর বিষয়ে তিনি বলেন তারা অফিসে আসেন, কিন্তু কোন কাজ না থাকায় চলে যান।
এবিষয়ে গত কয়েকদিন ধরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) এইচ এম আশরাফুল আরেফীনের সাথে অনেক চেষ্টা করেও সাক্ষাত মিলেনি। তার সাথে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভড করেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাছুদুর রহমানের সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, করোনার কারণে অফিসগুলো সীমিত আকারে চলছে। তারপরেও ত্রান অফিসের বিষয়টি আমি দেখছি।