নেত্রকোণার কলমাকান্দায় এক সপ্তাহ ব্যবধানে ফের অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বাড়তে শুরু করেছে উব্দাখালী নদীর পানি। দ্রুত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফের কলমাকান্দায় বিশরপাশা, বাউশাম, হরিপুর চকবাজার, আনন্দপুর, বরুয়াকোনা ও বড়খাঁপন কাঁচা ও পাঁকা সড়কের উপর দিয়ে পানি বয়ে যাচ্ছে। এদিকে উব্দাখালী পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নদণ্ডনদীর পানিও বাড়ছে। নদী তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চল ফের প্লাবিত হচ্ছে। গত শুক্রবার (১০ জুলাই) মধ্য রাত থেকে অতি বর্ষণের কারণে সীমান্তবর্তী গনেশ্বরী নদী, মঙ্গলেশ্বরী নদী, মহাদেও নদী ও পাঁচগাও ছড়ায় পাহাড়ি ঢলের কারণে ফুলে-ফেঁপে ওঠে পুরো উপজেলার উব্দাখালী নদী। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, কলমাকান্দার উব্দাখালী নদীর ডাক বাংলা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ সেন্টিমিটার দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৫ সেঃ মি: নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অতি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল আজ অব্যাহত থাকলে বিকালের মধ্যে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে! উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ অনিক রহমান প্রতিবেদককে জানান ইতিপূর্বে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্রায় ১ হাজার ৬০৪ টি পুকুরের মাছ সম্পূর্ণ ভেসে গেছে। এখন আবার নতুন করে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি হলে আরো প্রায় ২ হাজার মৎস্য চাষীরা ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারুক আহমেদ প্রতিবেদককে জানান, উপজেলার আটটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। ফের পানিতে তলিয়ে আমনের প্রায় ৩০০ একর বীজতলা ও ৫১০ হেক্টর আউশ ধান জমির ফসল ব্যপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যদি বৃষ্টিপাত বন্ধ না হয়। গত দু,দিনে শনিবার (১১ জুলাই) সকাল পর্যন্ত্য কলমাকান্দায় ৮২ মি.লি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টি বৃদ্ধি পেলে পাহাড়ি ঢল আরো বড় আকার ধারণ করতে পারে।