খুলনা-মাওয়া মহাসড়কটির সর্বত্রই এখন অবৈধ দখলদারদের হাতে জিম্মি। বিশেষ করে ফকিরহাটের অবস্থা ্এখন অরো বেশি নাজুক হয়ে পড়েছে। খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান এখন ইট,বালু,গাছের লক, বাঁশ আর বৈদ্যুতিক খুঁটিতে সংকুচিত হয়ে আছে। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কের পাশে গাছের লক,বাঁশ,ইট ও বালু রাখার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে রাস্তার পাশে রাখা গাছের গুড়ি ট্রাকে লোড-অনলোড করার সময় কোন প্রকার সতর্কতা অবলম্বন করা হয় না বললেই চলে। আর তা থেকে ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ধুলেবালি রাখার দরুণ দ্রুতগামী গাড়ি যাওয়ার পর প্রতিনিয়ত উড়ছে ধুলো বালি। ফলে মোটরসাইকেল এবং ভ্যান-রিকশা চালক ও পথচারিদের চোখে ধুলা উড়ে গিয়ে প্রতিনিয়তই মারাত্নক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এসব বালু ব্যবসায়ীদের অবৈধ দখল দেখে মনে হয় পুনরায় রাস্তা সংস্কারের জন্য তারা মালামাল এখানে রেখেছে। আবার অনেক ব্যবসায়ী রাস্তার পাশে পরিপাটি করে সাজিয়ে রেখেছে সুচালো বাঁশ। কোনভাবে এখানে দুর্ঘটনার শিকার হলে বেঁচে ফেরার কোনো অবস্থায় নেই। বাঁশের গাড়ি লোড এবং আনলোড করার সময় লম্বা বাঁশে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে সড়কটি। বিশেষ করে দূরপাল্লার দ্রুতগামী গাড়ি গুলো সাধারণ চলাচলে চরম ব্যাহাত হয়। এতে চালকদের একটু অন্যমনস্ক হলেই যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এসব অবৈধ দখলদারদের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুতের বৈদ্যুতিক খুঁটি গুলো। এমনটাই অভিযোগ সচেতন মহলের। বৈদ্যুতিক খুঁটি গুলো শুধু এলোপাতাড়ি করে রাখা তা-ই না। বরং খুঁটি গুলো দেখলে মনে হয় ক্ষেপণাস্ত্র তাক করে আছে পথচারীদের দিকে। এই বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপরে প্রতিদিন বিকাল হলে স্কুল কলেজ পডুয়া ছাত্ররা বসে অবসর সময় কাটাচ্ছে। কিন্তু রাস্তার পাশে বিক্ষিপ্তভাবে এই খুঁটিগুলো রাখার কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে অকালেই হারাতে পারে কোমলমতি প্রাণ। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর এনে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।