লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়িতে এক কলেজ ছাত্রের বাড়িতে প্রবেশ করে বিয়ের দাবি করছেন এইচএসসি প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। ওই ছাত্রী গত দুইদিন ধরে ওই বাড়ীতে অবস্থান করছেন।
শনিবার (১১ জুলাই) বিকেলে বড়বাড়ি ইউনিয়নের ১নং নওদাবাশ (ফেটকীপাড়া) গ্রামে ছেলের বাড়িতে সরেজমিনে গেলে ওই কলেজ ছাত্রীকে সেখানে অবস্থান করতে দেখা যায়। এর আগে গত শুক্রবার(১০ জুলাই) বিকেলে ওি কলেজছাত্রী ছেলের বাড়িতে যায় এবং ওই দুইদিন ধরে সেই বাড়িতে অবস্থান করছেন।
বিলকিছ খাতুন বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগগের ছাত্রী।
এলাকাবাসী জানান, বড়বাড়ি ইউনিয়নের নওদাবাশ গ্রামের বাদল খাঁনের মেয়ে ও একই গ্রামের মৃত শামসুল হকের কলেজ পড়ুয়া ছেলে বদরুদ্দোজার সাথে প্রেমের ছিল এটা আমরা জানি। ওইদিন মেয়েটি বদরুদ্দোজার বাড়িতে উঠলে বিষয়টি আরো পরিস্কার হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় ওই মেয়ে বদরুদ্দোজার বাড়িতে ঘরের ভিতরে প্ররবেশ ককরতে চাইলে বদরুদ্দোজার মা, বোন সাজেদা ও মাজেদে ও ভাবি নুর আছমা তাকে বেদম মারপিট করে। ঠিক ওই সময় ছেলে বদরুদ্দোজাকে বাড়ি থেকে কৌশলে বাহির করে অন্যত্র পাঠিয়ে দেন।
এর পরও ওই কলেজছাত্রী ছেলের বাড়িতে সারারাত বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিয়ের দাবীতে অবস্থান করে এবং এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই ছাত্রীকে সেখানেই অবস্থান করতে দেখা যায়।
এলাকাবাসী আরও জানায়, বদরুদ্দোজার সাথে বিলকিছ খাতুনের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি ছেলের পরিবার বুঝতে পেয়ে ছেলেকে অন্যত্রে বিয়ে ঠিক করে। বিলকিছ খাতুন বিষয়টি জানতে পেয়ে ছেলের বাড়িতে বিয়ের দাবী নিয়ে অবস্থান নেয়।
কলেজ ছাত্রী বিলকিছ খাতুন জানান, সে যখন ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে তখনই একই গ্রামের মৃত শামসুল হকের কলেজ পড়ুয়া ছেলে বদরুদ্দোজার সাথে প্রেমের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের এই প্রেমের প্রায় ৬বছর চলছে। এই ৬বছরে সে আমাকে বিয়ে করবে বলে বিভিন্ন জায়গায় ও তাাা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে দৈহিক মেলা মেশা করে। তাই সে বিয়ের দাবীতে আজ তার বাড়িতে অবস্থান করছে। তাকে বিয়ে করতেই হবে তা নাহলে সেখানেই আত্মহত্যা করবে বলে সাফ জানিয়ে দেন।
বিলকিছ খাতুনের ভগ্নিপতি শামীম জানান, আমরা বিকেলে বিলকিছকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুজি করি এবং এব পরেই জানতে পারি পাশের মৃত শামসুল হকের বাড়িতে তার ছেলের সাথে বিয়ের দাবীতে অবস্থান করছে। পরে আমরা জানতে পারি ওই ছেলের সাথে বিলকিছের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
এ বিষয়ে বড়বাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলী মোল্লা বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনা স্থালে গিয়েছি সমাধানে চেষ্টা করছি। পরে কোন পক্ষেই এগিয়ে না আসায় ওই অবস্থায় ঘটনাটি অমিমাংসিত রয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজ আলম বলেন, এ বিষয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।