নেত্রকোণার কলমাকান্দায় উব্দাখালী নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৫ সেঃ মি: ওপরে বইছে। এর ফলে ৫০টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানি বন্দী। গত ২৪ ঘণ্টায় রোববার সকাল সাড়ে ৬ টায় ৫৫ মি. মি. বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। বন্যার কারণে নি¤œাঞ্চলসহ প্লাবিত এলাকায় মানুষের খাবার সংকট ও বিশুদ্ধ পানির এবং গো খাদ্য অভাব দেখা দিয়েছে।
গত শুক্রবার মধ্যে রাত থেকে অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে এবং পার্শ্ববর্তী জেলার সুনামগঞ্জের বন্যার পানি উব্দা ভাবে আসায় উপজেলার উব্দাখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে রোববার সকাল সাড়ে ৬ টায় বিপদসীমার ২৫ সে: মি: ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যায় ফের ঘরবাড়ির চারপাশে এখনও পানি থাকায় কার্যত পানিবন্দি হয়ে আছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। গবাদি প্রাণি নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা। দুর্গত মানুষদের অভিযোগ খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। নেত্রকোণা জেলার সাথে ঠাকুরাকোনা-কলমাকান্দা সড়ক ও কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদসহ, বাউশাম, বিশরপাশা, বরুয়াকোনা ও বড়খাঁপন কাঁচা ও পাঁকা সড়কের উপর দিয়ে পানি বয়ে যাচ্ছে। ভেঙে পড়েছে উপজেলার অভ্যন্তরীণ পাঁকা ও কাঁচা সড়কের যোগযোগ ব্যবস্থা। এতে করে আবারও উপজেলায় রাস্তা-ঘাটে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে উব্দাখালী পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। নদী তীরবর্তী ও নি¤œাঞ্চল ফের প্লাবিত হয়েছে।
গত শুক্রবার মধ্যে রাত থেকে ফের ভারী বর্ষণে কারণে সীমান্তবর্তী গনেশ্বরী নদী, মঙ্গলেশ্বরী নদী, মহাদেও নদী ও পাঁচগাও ছড়ায় পাহাড়ি ঢলের কারণে ফুলে-ফেঁপে ওঠে পুরো উপজেলার উব্দাখালী নদী। উপজেলায় পানি বৃদ্ধির ফলে নি¤œাঞ্চলসহ গ্রাম-জনপদ পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। তলিয়ে যাচ্ছে ফসলী জমিসহ বিস্তীর্ণ গোচারণ ভূমি। অব্যাহত ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় দুর্ভোগে পড়েছে ৫০টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। বন্যার কারণে নি¤œাঞ্চলসহ প্লাবিত এলাকায় মানুষের খাবার সংকট ও বিশুদ্ধ পানির এবং গো খাদ্য অভাব দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি ও মৎস্য অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। ফের পানিতে তলিয়ে আমনের প্রায় ৩০০ একর বীজতলা ও ৫১০ হেক্টর আউশ ধান জমির ফসল ব্যপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত তিন দিনে রোববার সকাল সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত্য কলমাকান্দায় ১৩৭ মি.লি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ইতিপূর্বে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্রায় ১ হাজার ৬০৪ টি পুকুরের মাছ সম্পূর্ণ ভেসে গেছে। এখন আবার নতুন করে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি হলে আরো প্রায় ২ হাজার মৎস্য চাষীরা ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টি বৃদ্ধি পেলে পাহাড়ি ঢলে ও পার্শ্ববর্তী জেলার সুনামগঞ্জের বন্যার পানি উব্দা ভাবে আসার কারণে কলমাকান্দায় বড় বন্যার আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন তারা।