সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রাননাশের হুমকী লুটপাট ও চাঁদাদাবীর অভিযোগ এনে দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস ঝুমা তালুকদার এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ৩নং বালু মহালের ইজারাদার ঝুলন কুমার সাহা। শনিবার রাতে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব সভাকক্ষে উপস্থিত হয়ে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেণ।
তাঁর লিখিত বিবরণে জানান,দুর্গাপুর উপজেলায় অবস্থিত ৩নং বালুমহালটি বাংলা ১৪২৭ সনের জন্য ১২কোটি ৪ লক্ষ টাকা জমা করত এক বছরের জন্য ইজারা পাই। ইজারার বকেয়া টাকা পরিশোধের জন্য ৩০ জুলাই সময়সীমা বেধেদেওয়া হয়। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো বালু মহালটি ঝুঝে পাওয়ার পর থেকেই অর্থলোভী সন্ত্রাসী প্রকৃতির উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার ক্যাডার বাহিনী দ্বারা প্রতিনিয়তই আমার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে আসছে। চাঁদা না দেওয়ার কারণে গাড়ী চলাচল বন্ধ করেদিলে আমি বিষয়টি নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করি। এতে কোন সুরাহা না হওয়ায় গত ১০ জুলাই বিকালে তার সন্ত্রাসী বাহিনী বালু মহালের সীমানার মধ্যে রামদা,কিরিচ,লাঠিসোটা নিয়ে জোরপূর্বক গাড়ীতে চাঁদা দাবী করলে চালকগন তা দিতে না চাইলে তারা রাস্থার উপর গাছের চারা রোপন করে দীর্ঘ সময় গাড়ী আটকিয়ে রাখে।খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গেলে তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ও আমার লোকের উপর দেশীয় অস্ত্রদ্বারা আক্রমণ চালালে বেশ কয়েকজন আহত হয়ে সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আমাকে মেরেফেলার জন্য কুপদিতে শুরু করলে আমার কর্মচারীরা আমার প্রান রক্ষা করে। সে আমার ব্যবসায়িক মারাতœক ক্ষতির কারণ ঘটিয়েছে। আমি এবং আমরা এর আইনগত ব্যবস্থা সহ নির্বিগ্নে আমার ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য প্রশাসনিক জোরালো পদক্ষেপ চাই।
এ সময় পার্টনার আওয়ামী যুবলীগ উপজেলা সভাপতি মোঃ আঃ হান্নান,সাধারণ সম্পাদক(ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ)মোঃ সাদ্দাম হোসেন আকঞ্জি,পৌর আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ,কাঁকৈরগড়া ইউনিয়ন যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সহিদুল ইসলাম সহিদসহ তিন শতাদীক যুবলীগ নেতা-কর্মী তাঁর সঙ্গে ছিলেন।