কসবা সীমান্ত দিয়ে ভারতের ১২জন নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে পুশব্যাকের চেষ্টা করছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) এর বাধাঁর মুখে গত দুইদিন ধরে সীমান্তের শূন্য রেখায় ভারতীয় এলাকায় অবস্থান করছেন ওই সকল নারী পুরুষ। এ নিয়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় দু‘দেশের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্ত এলাকায় রন পাহাড়া জোরদার করা হয়েছে। পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতেৃত্ব দেন বিজিবির কসবার কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার করিম উদ্দিন প্রধান এবং ভারতের বিএসএফের পক্ষ নেতৃত্ব দেন কমলাসাগর বিএসএফ ক্যাম্পের পরিদর্শক প্রবেশ কুমার।
বিজিবি ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কসবা পৌর শহরের হাকর এলাকার ভারত সীমান্তের ২০৩৯/১২ এস পিলার এলাকা দিয়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় ১২জন নারী-পুরুষকে কাঁটা তারের বেড়া পার করে বাংলাদেশে পুশব্যাক করার চেষ্টা করেছে বিএসএফ। এ সময় টহলরত বিজিবি বাঁধা দেয়। এ নিয়ে গত শনিবার সন্ধায় ওই এলাকায় বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হয়। বৈঠক বলা হয়েছে, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে লকডাউন চলছে। কাউকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা যাবে না।
ওই বৈঠকের পরও ১২জন ভারতীয় নাগরিক সীমান্তের শূণ্য রেখায় ভারতীয় এলাকায় গতকাল রোববার বিকালে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্তও অবস্থান করতে দেখাগেছে। এদিকে তাদেরকে সীমান্তের অন্য কোন এলাকা দিয়ে যেন পুশব্যাক করতে না পারে এজন্য পুরো সীমান্ত এলাকায় বিজিবি টহল আরো জোরদার করেছে।
বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল এস এম মেহেদী হাসান বলেন, ভারতীয় ১২জন নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে পুশব্যাকের চেষ্টা করেছে বিএসএফ। বিজিবির পক্ষ থেকে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করে বাঁধা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা দুইদিন ধরে সীমান্তের শূন্যরেখার ভারতীয় এলাকায় অবস্থান করছে। বাংলাদেশে যেন পুশব্যাক করতে না পারে এজন্য সীমান্তের পুরো এলাকায় বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়েও কথা হয়েছে।