মেহেরপুরের গাংনী খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মো: মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে ত্রানের চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওজনে কম দেওয়ার ঘটনায় কোন প্রতিকার না পেয়েই ভুক্তভুগীদের মাঝে ওজনে কম দিয়ে চাল বিতরণ করেছে ট্যাগ কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে চাল কম দেওয়ার ঘটনা তদন্ত করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি ভুক্তভুগী ও স্থানীয়দের।
গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের ট্যাগ কর্মকর্তা আল মাসুম জানান,করোনা সংক্রামনের কারণে কর্মহীন ও অসহায় পরিবারের জন্য সরকার ষোলটাকা ইউনিয়নে ২ হাজার ৫শ’৫৬ জনের জন্য ১৫ কেজি মোট ৩৮টন ৩শ’৪০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়। বিধি মোতাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,ইউপি সদস্য সদস্যা ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে কর্মহীন ও অসহায়দের তালিকা তৈরি করা হয়। তালিকা মোতাবেক ১২ ও ১৩ জুলাই চাল বিতরন কালে ৫০ কেজির স্থলে বস্তা সহ ৪২ কেজি ৯শ’৪০ গ্রাম ও অপর একটি বস্তায় ৪৭ কেজি চাল পাওয়া যায়। ওজনে চাল কম পাওয়ার কারণে ভুক্তভুগীদের কিছুটা চাল কম দেয়া হয়েছে। খাদ্য গুদাম থেকে যে চাল কম দেয়া হয়েছে এ বিষয়টি তাৎক্ষনাক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান,ষোলটাকা ইউপির ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য আলী হোসেন তার ওয়ার্ডের ২৮০ জনের তালিকা জমা দিলেও চাল বিতরনের সময় ৩শ’২০জনকে চালের স্লিপ দেয়। সে পরবর্তীতে নিজ দায়িত্বে ২শ’৮০জনের চাল ৩শ’২০জনের মধ্যে বিতরন করেন। এ নিয়ে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে ভুক্তভুগী ও স্থানীয়রা।
ষোলটাকা ইউপির ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য আলী হোসেন বলেন,সব বিষয়ে লেখালেখি করতে হয়না। পারলে আপনারাই চাল বিতরন করেন।
সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকনের প্রতিনিধি সাবেক যুবলীগ নেতা আল ফারুক জানান,চাল বিতরনের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। বস্তায় ৫০ কেজি করে চাল না থাকার কারণে ভুক্তভুগীদের কিছুটা কম দেয়া হয়েছে।
গাংনী খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মো: মতিয়ার রহমান বলেন,ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি মো: আবদুল লতিফের কাছে চাল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। কোন ওজনে কম দেয়া হয়নি। ট্যাগ কর্মকর্তা ইউপি চেয়ারম্যান,ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের অভিযোগ কি তাহলে অসত্য জানতে চাইলে তিনি মোবাইল কেটে দেন।
ষোলটাকা ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো: আবদুল লতিফ জানান,খাদ্য গুদাম থেকে দুএকটি বস্তার চাল ওজন করে দেখা হয়েছে। বাকী চাউলের বস্তা ওজন না করেই গাড়ীতে তুলে দিয়েছে। পরে চাল বিতরন করার সময় ওজনে কম পাওয়া যায়।
ষোলটাকা ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি জানান,তিনি অসুস্থ থাকার কারণে ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো: আবদুল লতিফকে সরকারী বিধি মোতাবেক চাল উত্তোলন ও বিতরন করার জন্য লিখিত ভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। চাল বিতরনের সময় তিনি ট্যাগ অফিসার,ইউপি সচিব,ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য প্রতিনিধিদের মাধ্যমে খাদ্য গুদাম থেকে চাল কম দেয়া হয়ে বলে জানতে পেরে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তিনি অবগত করেছেন তিনি।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম শাহনেওয়াজ বলেন,ওজনে চাল কম দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।