কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার মাইজচর ইউনিয়নের মাইজচর সাকিনের ঘোড়াউত্রা নদী থেকে একদল প্রভাবশালী মহল বড় বড় স্টিল বডি নৌকা দিয়ে বালি উত্তোলন করে আসছে গত ১ মাস ধরে। এই ইউনিয়নে বালি উত্তোলনের ফলে নদীর পাড়ের গ্রাম বাসীদের কয়েকসহ বাড়ী নদীতে বিলীন হয়েগেছে। প্রতি স্টিল বডি নৌকার মধ্যে ৫ থেকে ৬ হাজার ফুট বালু উত্তোলন হয়। প্রতিদিন শত শত নৌকা বাজিতপুরের দিঘীরপাড়, কৈলাগ, হিলচিয়া, নিকলীর, দামপাড়া সহ পাশ্ববর্তী নদী তীরবর্তী এলাকায় এসব বালি প্রতি ফুট ৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত ফুট হিসাবে স্টিল বডির মহাজনরা বিক্রি করে থাকেন। সোমবারা হিলচিয়া বাজারের সরেজমিন গেলে নিকলীর দৌলতপুর গ্রামে সাহু মিয়া, সাইদুর রহমান, সহ প্রায় ৫-৬ বালি ব্যবসায়ী অবৈধ ভাবেরাস্তার বামপাশে ও ডানপাশে স্টিল বডি নৌকা থেকে ড্রেজার দিয়ে বালি তুলছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, স্টিল বডি নৌকা থেকে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলনের ফলে রাস্তার মধ্যে পানি আটকে যাওয়ার ফলে তাদের আসা-যাওয়া খুবই অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু বাজিতপুর উপজেলা প্রশাসন নদী থেকে বালি উত্তোলনে বন্ধের কোনো প্রক্রিয়া নেই বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে। এদিকে নিকলী উপজেলার ছাতিরচর ঘোড়াউত্রা নদীথেকে ও একদল বালু খেকো বালি উত্তোলন করার ফলে ছাতিরচর গ্রামটি ভেঙ্গে যাচ্ছে। তারা ঘর বাড়ি হারিয়ে কেহ ঢাকা, কেহ চট্টগ্রাম সহ বিভাগীয় শহরের করোনা ভাইরাসের মধ্যে খুব কষ্টে দিন যাপন করছেন। আবার কেহ কেহ এসব শহরে ভিক্ষাবৃত্তি পেশা বেছে নিয়েছেন। এই বিষয়ে বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিপ্তীময়ী জামান জানান, বাজিতপুরে অনেক জায়গায় বালি উত্তোলন আপাতত বন্ধ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।