লালপুর-নাটোর সড়কের লালপুর উপজেলা পরিষদের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতি খালের উপরে সংযোগ সড়ক (বাঁধ) সংস্কার ও পানি নিস্কাশনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে উপজেলার কয়েকশত পানিবন্দী ও ভুক্তভুগি মানুষ। সোমবার উপজেলা পরিষদের সামনে গোপালপুর পৌরসভার ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড এর পানি বন্দী মানুষের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর আবদুল কুদ্দুস মালিথা, নিরাপদ সড়ক চাই লালপুর উপজেলা শাখার সভাপতি ও সাপ্তাহিক লালপুর বার্তার সম্পাদক আবদুল মোত্তালেব রায়হান, সাধারণ সম্পাদক, কেশবপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম লিটন, এলাকাবাসীর মধ্যে নছির উদ্দিন, কাজী কামরুজ্জামান প্রমূখ।
বক্তারা বলেন গত কয়েক মাস আগে নাটোর- লালপুর প্রধান সড়কের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ওই খালের উপরের ঝুকিপুর্ন সেতুটি পুননির্মানের জন্য ভেঙ্গে ফেলে ঠিকাদার। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ওই খালের উপর সেতুর পাশ দিয়ে সংযোগ সড়ক (বাধ) নির্মান করে দেয়। গত কয়েক দিনের বর্ষনে উজানের পানি বের হতে না পেরে বাধের উপর দিয়ে তীব্র স্রোতে পানি বের হচ্ছে। ফলে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে এবং যান চলাচল মারাত্মক ঝুকির মধ্যে পড়েছে। এদিকে বাধটিতে পানি নিস্কাশনের প্রর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বিগত কয়েক দিনের বর্ষনে উজানের বৈদ্যনাথপুর, সিরাজিপুর,মহিষবাথান, মন্ডলপাড়া, স্টেডিয়ামপাড়া সহ ৮-১০ টি গ্রামের শত শত একর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
এছাড়া এ বাধের কারণে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয় পানিবন্দী এসব এলাকার মানুষ এখন পর্যন্ত কোন সহযোগিতা পায়নি। বার বার সড়কটি মেরামত ও পানি নিস্কাশনের দাবী জানালেও এখন পর্যন্ত কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ওই সড়কের ওয়ালিয়া থেকে লালপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা বিগত কয়েক বছর সংস্কার না করায় শত শত বড় বড় খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। প্রায়শই যানবহন এসব খানা খন্দে আটকা পড়ে যান চলাচল ব্যহত হয়। মানববন্ধনে তারা দ্রুত ওই সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।