কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে ৫০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পরেছে। বড়চর, নটার কান্দি, ঢুষমারা, বজরা দিয়ারখাতা, বাতাসু কাঁজল ডাঙ্গা, হাতিয়া বকসি, নাইয়ার চর, দুইশো বিঘা, গয়নার পটল, বড় বাগ, খেদাইমারী, খেরুয়ার চর, শাখাহাতী, মনতোলা, তেলী পাড়া, মাঝ স্থল, গুড়াতি পাড়া, বাসন্তি গ্রাম, মাঝি পাড়া, হাটি থানা, কালিকুরা, সড়কটারী, দক্ষিণ খামার এলাকা প্লাবিত হয়ে বাড়ী ঘরে হাঁটু পরিমাণ পানি হওয়ায় এসব লোক জন আশ্রায়ন কেন্দ্র, বাঁধের রাস্তা, স্কুল, মাদ্রসাসহ বিভিন্ন উঁচু স্থানে গবাদী পশুসহ আশ্রয় নিয়ে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। রাজারভিটা ফাজিল মাদরাসায় আশ্রিত নজির হোসেন (৭৫) জানান, প্রথম দফা বন্যায় ঘরে পানি ওঠায় পরিবার পরিজন সহ এই মাদরাসায় আশ্রয় নিয়েছিলাম। বন্যার পানি কমে যাওয়ায় বাড়ীতে যাওয়ার ৭ দিনের মাথায় আবারো ২য় দফা বন্যার পানি ঘরে ওঠায় আবারও মাদরাসায় আসতে হলো। মাদরাসায় আশ্রিত করিমন (৫৫) জানান, ঘরে কোমর পরিমান পানি হওয়ায় অসুস্থ স্বামী ও সন্তানদের কে নিয়ে মাদরাসায় আশ্রয় নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছি। উত্তর রমনা বাঁধে আশ্রিত আহাম্মদ আলী (৫৫) জানান, ঘরে এক বুক পানি হওয়ায় বাঁধের রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছি। পাউবো জানায় ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে ২৪ ঘন্টায় ৩৬ সেঃমিঃ পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৯৩ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।